১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দামেস্কে ইসরায়েলের বড় হামলা, লক্ষ্য সেনা সদরদপ্তর!

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে দেশটির সেনা সদরদপ্তরে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বুধবার (১৬ জুলাই) এ হামলার ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সম্প্রতি সুয়েদা শহরে দ্রুজ ও বেদুঈন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পর সেখানে হস্তক্ষেপ করে সিরীয় বাহিনী। এর জের ধরেই ইসরায়েল এই হামলা শুরু করে।

নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারা ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ায় হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আক্রমণ কেবল সামরিক নয়, বরং রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে—সিরিয়ার নতুন সরকারের দুর্বলতা ও নিরাপত্তাহীনতা প্রকাশিত হচ্ছে বিশ্ববাসীর সামনে।

 সিরিয়ার বর্তমান সরকার এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাদের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা কাঠামো দুর্বল। এর মধ্যেই গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের সময় টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে ইসরায়েল দেশটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। সে সময় ৪০০টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল, যা সিরিয়ার প্রতিরক্ষা কাঠামোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে পরিষ্কার করে দিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো যুদ্ধ চায় না। তবে বাস্তবতা হলো, তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। সামরিক কাঠামোর দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা এই মুহূর্তে তাদের বড় সংকটে ফেলেছে।

ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় কেবল সরকার নয়, ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সিরিয়ার সাধারণ মানুষও। তারা নিজেদের নিরাপত্তাহীন মনে করছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

দামেস্কে ইসরায়েলের বড় হামলা, লক্ষ্য সেনা সদরদপ্তর!

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে দেশটির সেনা সদরদপ্তরে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বুধবার (১৬ জুলাই) এ হামলার ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সম্প্রতি সুয়েদা শহরে দ্রুজ ও বেদুঈন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পর সেখানে হস্তক্ষেপ করে সিরীয় বাহিনী। এর জের ধরেই ইসরায়েল এই হামলা শুরু করে।

নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারা ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ায় হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আক্রমণ কেবল সামরিক নয়, বরং রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে—সিরিয়ার নতুন সরকারের দুর্বলতা ও নিরাপত্তাহীনতা প্রকাশিত হচ্ছে বিশ্ববাসীর সামনে।

 সিরিয়ার বর্তমান সরকার এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাদের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা কাঠামো দুর্বল। এর মধ্যেই গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের সময় টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে ইসরায়েল দেশটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। সে সময় ৪০০টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল, যা সিরিয়ার প্রতিরক্ষা কাঠামোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে পরিষ্কার করে দিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো যুদ্ধ চায় না। তবে বাস্তবতা হলো, তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। সামরিক কাঠামোর দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা এই মুহূর্তে তাদের বড় সংকটে ফেলেছে।

ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় কেবল সরকার নয়, ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সিরিয়ার সাধারণ মানুষও। তারা নিজেদের নিরাপত্তাহীন মনে করছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।