০৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবীজির নাম উচ্চারণের পর দরুদ পাঠ: কুরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা

মুসলিম বিশ্বে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং আনুগত্য প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো তাঁর নাম উচ্চারণের পর ‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলা। এই আরবি বাক্যটির অর্থ হলো—“আল্লাহ তাঁর প্রতি শান্তি ও আশীর্বাদ বর্ষণ করুন।” মুসলমানরা তাঁদের প্রিয় নবীর নাম নিলেই সঙ্গে সঙ্গে এ বাক্যটি উচ্চারণ করে থাকেন, যা কুরআন ও হাদীস দ্বারা স্বীকৃত এবং উৎসাহিত একটি আমল।

পবিত্র কুরআনের সূরা আল-আহযাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ কর এবং সালাম দাও।” এ আয়াতের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নবীজির প্রতি সালাত ও সালাম প্রেরণের। আলেমগণ বলেন, এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, নবীর প্রতি দোয়া ও শান্তি কামনা করা শুধু সুন্নত নয়, বরং একপ্রকার দায়িত্ব।

‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উচ্চারণ শুধু একটি দোয়ার বাক্য নয়; এটি নবীজির প্রতি একজন মুসলমানের হৃদয়ের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি নবীজির নাম শুনে তাঁর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠ করে না, তার উপর দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং রাসূল (সা.)। তাই এটি বলা একজন মুসলমানের ঈমানি চেতনাকে জাগ্রত রাখে।

বর্তমানে ইসলামী বক্তৃতা, খুতবা, ধর্মীয় শিক্ষা, এমনকি সাধারণ কথোপকথনেও মুসলমানরা নিয়মিতভাবে নবীজির নামের সঙ্গে এই বাক্যটি ব্যবহার করে থাকেন। এটি শুধু ব্যক্তিগত নেক আমল নয়, বরং একটি সামাজিক ও সংস্কৃতিক চর্চাও, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ছে।

ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন, মহানবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠ করার এই চর্চা মুসলমানদের আত্মিক উন্নয়ন ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথকে সুগম করে। এটি কিয়ামতের দিন নবীজির শাফায়াত (সুপারিশ) পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম বলেও বর্ণিত রয়েছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নবীজির নাম উচ্চারণের পর দরুদ পাঠ: কুরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

মুসলিম বিশ্বে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং আনুগত্য প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো তাঁর নাম উচ্চারণের পর ‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলা। এই আরবি বাক্যটির অর্থ হলো—“আল্লাহ তাঁর প্রতি শান্তি ও আশীর্বাদ বর্ষণ করুন।” মুসলমানরা তাঁদের প্রিয় নবীর নাম নিলেই সঙ্গে সঙ্গে এ বাক্যটি উচ্চারণ করে থাকেন, যা কুরআন ও হাদীস দ্বারা স্বীকৃত এবং উৎসাহিত একটি আমল।

পবিত্র কুরআনের সূরা আল-আহযাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ কর এবং সালাম দাও।” এ আয়াতের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নবীজির প্রতি সালাত ও সালাম প্রেরণের। আলেমগণ বলেন, এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, নবীর প্রতি দোয়া ও শান্তি কামনা করা শুধু সুন্নত নয়, বরং একপ্রকার দায়িত্ব।

‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উচ্চারণ শুধু একটি দোয়ার বাক্য নয়; এটি নবীজির প্রতি একজন মুসলমানের হৃদয়ের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি নবীজির নাম শুনে তাঁর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠ করে না, তার উপর দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং রাসূল (সা.)। তাই এটি বলা একজন মুসলমানের ঈমানি চেতনাকে জাগ্রত রাখে।

বর্তমানে ইসলামী বক্তৃতা, খুতবা, ধর্মীয় শিক্ষা, এমনকি সাধারণ কথোপকথনেও মুসলমানরা নিয়মিতভাবে নবীজির নামের সঙ্গে এই বাক্যটি ব্যবহার করে থাকেন। এটি শুধু ব্যক্তিগত নেক আমল নয়, বরং একটি সামাজিক ও সংস্কৃতিক চর্চাও, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ছে।

ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন, মহানবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠ করার এই চর্চা মুসলমানদের আত্মিক উন্নয়ন ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথকে সুগম করে। এটি কিয়ামতের দিন নবীজির শাফায়াত (সুপারিশ) পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম বলেও বর্ণিত রয়েছে।