১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনায় মুমিনের হৃদয়জুড়ে জিকিরের সাড়া

আল্লাহর প্রতি মুমিনের গভীর আত্মসমর্পণ ও অনুশোচনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মসজিদে ও মাহফিলে একটি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ যিকর বিশেষভাবে উচ্চারিত হতে দেখা যাচ্ছে— “আস্তাগফিরুল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যূম, ওয়া আতূবু ইলাইহি, লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম।”

এই পবিত্র বাক্যটি মূলত একটি সম্মিলিত দোআ ও যিকর, যার মাধ্যমে একজন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তাঁর পাপের জন্য ক্ষমা চান, তাঁর প্রতি ইমান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা রাখার অঙ্গীকার করেন। ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অর্থ— ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই’; এরপর বলা হয়— ‘লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যুম’, অর্থাৎ ‘তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও সব কিছুর ধারক-ধারণকারী।’ এরপর বলা হয় ‘ওয়া আতুবু ইলাইহি’, অর্থাৎ ‘আমি তাঁরই দিকে ফিরে আসি।’ সর্বশেষাংশে উচ্চারিত হয়— ‘লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’, যার অর্থ— ‘আল্লাহ ছাড়া (পাপ থেকে বাঁচার) কোনো শক্তি নেই, এবং (সৎ কাজ করার) কোনো ক্ষমতা নেই।’

ধর্মীয় বিশ্লেষকদের মতে, এটি এমন একটি দোআ যা আত্মশুদ্ধি, অনুশোচনা এবং আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ নির্ভরতার বার্তা দেয়। কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন বর্ণনায় এই বাক্যাংশগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম বলে উল্লেখ রয়েছে। এমনকি ‘লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বাক্যটি জান্নাতের গুপ্তধনের অন্যতম বলে হাদীসে এসেছে।

ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, এসব যিকর শুধু মুখের উচ্চারণ নয়, বরং এটি হৃদয়ের গভীর অনুশোচনা ও আন্তরিকতার প্রকাশ। তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার এই দোআগুলো যেন কেবল মুখে উচ্চারিত না হয়, বরং অন্তর দিয়ে উপলব্ধিও করা জরুরি।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনায় মুমিনের হৃদয়জুড়ে জিকিরের সাড়া

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

আল্লাহর প্রতি মুমিনের গভীর আত্মসমর্পণ ও অনুশোচনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মসজিদে ও মাহফিলে একটি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ যিকর বিশেষভাবে উচ্চারিত হতে দেখা যাচ্ছে— “আস্তাগফিরুল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যূম, ওয়া আতূবু ইলাইহি, লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম।”

এই পবিত্র বাক্যটি মূলত একটি সম্মিলিত দোআ ও যিকর, যার মাধ্যমে একজন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে তাঁর পাপের জন্য ক্ষমা চান, তাঁর প্রতি ইমান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা রাখার অঙ্গীকার করেন। ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অর্থ— ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই’; এরপর বলা হয়— ‘লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়্যুম’, অর্থাৎ ‘তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও সব কিছুর ধারক-ধারণকারী।’ এরপর বলা হয় ‘ওয়া আতুবু ইলাইহি’, অর্থাৎ ‘আমি তাঁরই দিকে ফিরে আসি।’ সর্বশেষাংশে উচ্চারিত হয়— ‘লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’, যার অর্থ— ‘আল্লাহ ছাড়া (পাপ থেকে বাঁচার) কোনো শক্তি নেই, এবং (সৎ কাজ করার) কোনো ক্ষমতা নেই।’

ধর্মীয় বিশ্লেষকদের মতে, এটি এমন একটি দোআ যা আত্মশুদ্ধি, অনুশোচনা এবং আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ নির্ভরতার বার্তা দেয়। কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন বর্ণনায় এই বাক্যাংশগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম বলে উল্লেখ রয়েছে। এমনকি ‘লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বাক্যটি জান্নাতের গুপ্তধনের অন্যতম বলে হাদীসে এসেছে।

ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, এসব যিকর শুধু মুখের উচ্চারণ নয়, বরং এটি হৃদয়ের গভীর অনুশোচনা ও আন্তরিকতার প্রকাশ। তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার এই দোআগুলো যেন কেবল মুখে উচ্চারিত না হয়, বরং অন্তর দিয়ে উপলব্ধিও করা জরুরি।