১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত আমিরকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

এর আগে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াত আমির। তিনি একপর্যায়ে দুইবার মঞ্চে পড়ে যান। সঙ্গে থাকা জামায়াতের চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে তার চিকিৎসা শুরু করেন। অসুস্থ অবস্থাতেই তিনি মঞ্চে বসে বক্তব্য প্রদান করেন।

সমাবেশে বক্তব্যকালে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, ততদিন লড়াই অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। মুক্তি অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই থামবে না। যদি মানুষের সেবা করার সুযোগ পাই, তবে আমি মালিক হব না, হবো একজন সেবক।”

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে যদি কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে, তাহলে কোনো এমপি বা মন্ত্রী সরকার থেকে প্লট নেবে না, শুল্কমুক্ত গাড়িতে চড়বে না, দুর্নীতিতে লিপ্ত হবে না। চাঁদা নেয়ার বা দুর্নীতি সহ্য করার সংস্কৃতি থাকবে না।

জামায়াত আমির তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “বন্ধুগণ, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। আমি এখানে জামায়াতের আমির হিসেবে নয়, ১৮ কোটি মানুষের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি।”

ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্য ও শারীরিক অসুস্থতা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিবের তার প্রতি খোঁজখবর নেওয়া রাজনৈতিক সংহতির একটি ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

ট্যাগ

জামায়াত আমিরকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

এর আগে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াত আমির। তিনি একপর্যায়ে দুইবার মঞ্চে পড়ে যান। সঙ্গে থাকা জামায়াতের চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে তার চিকিৎসা শুরু করেন। অসুস্থ অবস্থাতেই তিনি মঞ্চে বসে বক্তব্য প্রদান করেন।

সমাবেশে বক্তব্যকালে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, ততদিন লড়াই অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। মুক্তি অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই থামবে না। যদি মানুষের সেবা করার সুযোগ পাই, তবে আমি মালিক হব না, হবো একজন সেবক।”

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে যদি কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে, তাহলে কোনো এমপি বা মন্ত্রী সরকার থেকে প্লট নেবে না, শুল্কমুক্ত গাড়িতে চড়বে না, দুর্নীতিতে লিপ্ত হবে না। চাঁদা নেয়ার বা দুর্নীতি সহ্য করার সংস্কৃতি থাকবে না।

জামায়াত আমির তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “বন্ধুগণ, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। আমি এখানে জামায়াতের আমির হিসেবে নয়, ১৮ কোটি মানুষের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি।”

ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্য ও শারীরিক অসুস্থতা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিবের তার প্রতি খোঁজখবর নেওয়া রাজনৈতিক সংহতির একটি ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হচ্ছে।