আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের অন্যতম একটি হলো ‘আল-মালিক’ (الملك)। এ নামের অর্থ— সর্বময় কর্তৃত্ব ও শাসনক্ষমতার অধিকারী, যিনি সমগ্র জগতের একচ্ছত্র মালিক ও রাজাধিরাজ। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, আল্লাহর এই গুণ মানবজীবনে ঈমান, বিনয় ও আনুগত্যের অনুশীলনে গভীর প্রভাব ফেলে।
পবিত্র কুরআনে বহুবার আল্লাহকে ‘আল-মালিক’ নামে সম্বোধন করা হয়েছে। বিশেষভাবে সূরা হাশরের ২৩তম আয়াতে বলা হয়— “তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি রাজা, পবিত্র, শান্তিদাতা…”। এ আয়াত স্পষ্ট করে দেয় যে, আল্লাহর শাসন ও মালিকানার কোন সীমা নেই; তিনি সব কিছুর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী।
‘আল-মালিক’ নামটি শুধু জাগতিক রাজত্বের চেয়ে বহু ঊর্ধ্বে। পার্থিব রাজারা তাদের সীমিত ক্ষমতা ও সময়ের জন্য রাজত্ব করেন, কিন্তু আল্লাহর রাজত্ব অনন্তকালব্যাপী। তিনি কেবল বাহ্যিক জগতের নয়, মানুষের হৃদয়, নিয়ত ও কর্মেরও মালিক।
এই নামটি মুসলমানদের মনে আল্লাহর প্রতি ভক্তি ও ভয় বৃদ্ধি করে। কারণ, তিনি যেভাবে সৃষ্টি করেছেন, তেমনি বিচারও করবেন। তাই ‘আল-মালিক’ নাম হৃদয়ে ধারণ করলে মানুষ আল্লাহর বিধান মেনে চলতে সচেষ্ট হয় এবং অহংকার থেকে দূরে থাকে।
বিশেষজ্ঞ আলেমরা মনে করেন, এই নামের তাৎপর্য উপলব্ধি করা হলে সমাজে ন্যায্যতা ও আল্লাহভীতির চর্চা বাড়ে। ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নৈতিকতার ভিত্তি মজবুত হয়।
ইসলামী শিক্ষায় আল্লাহর নামসমূহের জিকির করার মাধ্যমে বান্দার ঈমান আরও দৃঢ় হয়। তাই প্রতিদিন ‘আল-মালিক’ নাম পাঠ ও স্মরণ করার মাধ্যমে একজন মুমিন তাঁর শাসনাধীন জীবনে আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণে সচেষ্ট হতে পারে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।