০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন

নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের ভয়াবহ সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ আটজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আইড়মারী এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে পাঁচজন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। বাকি নিহতরা হলেন তাদের আত্মীয়স্বজন এবং মাইক্রোবাসচালক। নিহতরা সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার নান্দীরামধু গ্রামে অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। গুরুতর আহত তিনজনকে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), আত্মীয় আনোয়ারা খাতুন আন্না (৫৫), আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), ইতি খাতুন (৪০), সাহাব হোসেন (৩৫), আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং সাহাব হোসেন রুবেল (৩৫)।

নিহত জাহিদুলের চাচাতো ভাই জানারুল ইসলাম জানান, জাহিদুলের ছেলে সোহানের স্ত্রীর অপারেশনের পর তাকে দেখতে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন সবাই। পথে ট্রাকের ধাক্কায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকেই ধর্মদহ গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের স্বজনরা। আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় মানুষজন দলে দলে নিহতদের বাড়িতে এসে শোক প্রকাশ ও সান্ত্বনা জানাচ্ছেন।

দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ বলেন, নিহতদের অধিকাংশই একই পরিবারের সদস্য। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, মরদেহ হস্তান্তর ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের ভয়াবহ সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ আটজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আইড়মারী এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে পাঁচজন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। বাকি নিহতরা হলেন তাদের আত্মীয়স্বজন এবং মাইক্রোবাসচালক। নিহতরা সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার নান্দীরামধু গ্রামে অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান। গুরুতর আহত তিনজনকে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), আত্মীয় আনোয়ারা খাতুন আন্না (৫৫), আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), ইতি খাতুন (৪০), সাহাব হোসেন (৩৫), আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং সাহাব হোসেন রুবেল (৩৫)।

নিহত জাহিদুলের চাচাতো ভাই জানারুল ইসলাম জানান, জাহিদুলের ছেলে সোহানের স্ত্রীর অপারেশনের পর তাকে দেখতে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন সবাই। পথে ট্রাকের ধাক্কায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকেই ধর্মদহ গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের স্বজনরা। আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় মানুষজন দলে দলে নিহতদের বাড়িতে এসে শোক প্রকাশ ও সান্ত্বনা জানাচ্ছেন।

দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ বলেন, নিহতদের অধিকাংশই একই পরিবারের সদস্য। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, মরদেহ হস্তান্তর ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।