
গত ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এতে থাকা ২৪২ আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনই নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৫২ জন ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। তাদের মধ্যে ১২ জনের মরদেহ ভারতের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়।
তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, প্রেরিত কয়েকটি মরদেহ ভুল ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্রিটিশদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী জেমস হিলি প্র্যাট বলেন, পরিবারের সদস্যরা এতে মারাত্মকভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
একটি পরিবার তাদের প্রিয়জনকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য সব আয়োজন করেছিল। কিন্তু কফিন খোলার আগমুহূর্তে তারা জানতে পারেন, সেটি তাদের স্বজনের মরদেহ নয়। ফলে তারা অন্তোষ্টিক্রিয়া বাতিল করতে বাধ্য হন।
অপর একটি ঘটনায় একই কফিনে দুজনের দেহাবশেষ পাওয়া যায়, যা পরিবারটির জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে তারা পরিচয় নিশ্চিত করে দেহাবশেষ আলাদা করে সৎকার করেন।
লন্ডনের মেডিকো-লিগ্যাল বিশেষজ্ঞ ডা. ফিয়োনা উইলকোক্স প্রেরিত মরদেহগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে গড়বড় শনাক্ত করেন। এতে প্রশ্ন উঠেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মরদেহ শনাক্ত প্রক্রিয়া নিয়েও।
এদিকে, মাত্র দু’দিন পর যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। সফরে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হলেও নিহতদের পরিবার চাইছে, ভুল মরদেহ পাঠানোর ইস্যুটি স্টারমার যেন মোদির সামনে জোরালোভাবে উত্থাপন করেন।
আইনজীবী প্র্যাট বিষয়টি কূটনৈতিক পর্যায়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এটা শুধু দুঃখজনক নয়, এটা মর্যাদাহানিকরও। পরিবারগুলোর কাছে এটি এক অপূরণীয় ক্ষতির নাম।”