০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আস্-সালাম (ٱلسَّلَامُ) – শান্তিদাতা

আস্-সালাম আল্লাহ্‌র ৯৯টি গুণবাচক নামের একটি, যার অর্থ—শান্তিদাতা, নিরাপত্তার উৎস, ত্রুটিমুক্ত পরিপূর্ণ সত্তা। তিনি পরম শান্তির আধার, যাঁর থেকে শান্তি ছড়িয়ে পড়ে সৃষ্টিজগতে।

আল্লাহ্‌ নিজেই কুরআনে বলেন, “তিনি আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি রাজাধিরাজ, পবিত্র, শান্তিদাতা…” (সূরা হাশর ৫৯:২৩)। এই আয়াতে আল্লাহ্‌র নাম আস্-সালাম উল্লেখ করে বোঝানো হয়েছে যে, তিনিই সব নিরাপত্তা ও শান্তির উৎস।

এই নামের মাধ্যমে আমরা শিখি যে, প্রকৃত শান্তি শুধুমাত্র আল্লাহর সান্নিধ্যে পাওয়া যায়। বাহ্যিক জগতে যত অস্থিরতা থাকুক, অন্তরের শান্তি একমাত্র আস্-সালাম আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরতার মাধ্যমেই সম্ভব।

এই নামের শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে ধারণ করতে আমাদের উচিত সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করা এবং সর্বদা সালাম দেওয়া—যার দ্বারা আমরা একে অপরের জন্য শান্তি কামনা করি। সালাম দেওয়াও এই গুণবাচক নামের বাস্তব প্রতিফলন।

একটি দোআ রয়েছে, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাজের পর পড়তেন:
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনিই শান্তি, আর আপনার পক্ষ থেকেই শান্তি। আপনি অত্যন্ত বরকতময়, হে মহিমা ও মর্যাদার অধিকারী!”


ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আস্-সালাম (ٱلسَّلَامُ) – শান্তিদাতা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

আস্-সালাম আল্লাহ্‌র ৯৯টি গুণবাচক নামের একটি, যার অর্থ—শান্তিদাতা, নিরাপত্তার উৎস, ত্রুটিমুক্ত পরিপূর্ণ সত্তা। তিনি পরম শান্তির আধার, যাঁর থেকে শান্তি ছড়িয়ে পড়ে সৃষ্টিজগতে।

আল্লাহ্‌ নিজেই কুরআনে বলেন, “তিনি আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি রাজাধিরাজ, পবিত্র, শান্তিদাতা…” (সূরা হাশর ৫৯:২৩)। এই আয়াতে আল্লাহ্‌র নাম আস্-সালাম উল্লেখ করে বোঝানো হয়েছে যে, তিনিই সব নিরাপত্তা ও শান্তির উৎস।

এই নামের মাধ্যমে আমরা শিখি যে, প্রকৃত শান্তি শুধুমাত্র আল্লাহর সান্নিধ্যে পাওয়া যায়। বাহ্যিক জগতে যত অস্থিরতা থাকুক, অন্তরের শান্তি একমাত্র আস্-সালাম আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরতার মাধ্যমেই সম্ভব।

এই নামের শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে ধারণ করতে আমাদের উচিত সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করা এবং সর্বদা সালাম দেওয়া—যার দ্বারা আমরা একে অপরের জন্য শান্তি কামনা করি। সালাম দেওয়াও এই গুণবাচক নামের বাস্তব প্রতিফলন।

একটি দোআ রয়েছে, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাজের পর পড়তেন:
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনিই শান্তি, আর আপনার পক্ষ থেকেই শান্তি। আপনি অত্যন্ত বরকতময়, হে মহিমা ও মর্যাদার অধিকারী!”