০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক উদ্বেগ, মালয়েশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের শান্তির আহ্বান

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহছাড়া হয়েছে। সংঘাত শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার, এবং এখন পর্যন্ত এটি ১২টি সীমান্তস্থলে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় কম্বোডিয়া অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও জানান, তার দেশ নিঃশর্তভাবে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান করছে। তবে থাইল্যান্ড এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

থাইল্যান্ড ইতোমধ্যেই সীমান্তবর্তী আট জেলায় সামরিক আইন জারি করেছে। দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সংঘাত আরও বড় যুদ্ধে পরিণত হতে পারে এবং বর্তমানে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই সংঘাতে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলেছে উভয় দেশ। থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া বেসামরিক এলাকায় গোলাগুলি চালাচ্ছে। অপরদিকে, কম্বোডিয়া বলেছে, থাইল্যান্ড ক্লাস্টার বোমার মতো নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক জনগণের জন্য মারাত্মক হুমকি। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে থাইল্যান্ড কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুই দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রও সংঘাত বন্ধ করে বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাদের মতে এখনই কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রয়োজন নেই।

ট্যাগ

আন্তর্জাতিক উদ্বেগ, মালয়েশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের শান্তির আহ্বান

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহছাড়া হয়েছে। সংঘাত শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার, এবং এখন পর্যন্ত এটি ১২টি সীমান্তস্থলে ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় কম্বোডিয়া অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও জানান, তার দেশ নিঃশর্তভাবে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান করছে। তবে থাইল্যান্ড এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

থাইল্যান্ড ইতোমধ্যেই সীমান্তবর্তী আট জেলায় সামরিক আইন জারি করেছে। দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সংঘাত আরও বড় যুদ্ধে পরিণত হতে পারে এবং বর্তমানে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই সংঘাতে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগও তুলেছে উভয় দেশ। থাইল্যান্ড অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া বেসামরিক এলাকায় গোলাগুলি চালাচ্ছে। অপরদিকে, কম্বোডিয়া বলেছে, থাইল্যান্ড ক্লাস্টার বোমার মতো নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক জনগণের জন্য মারাত্মক হুমকি। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে থাইল্যান্ড কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুই দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রও সংঘাত বন্ধ করে বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাদের মতে এখনই কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রয়োজন নেই।