০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোরপূর্বক মদ্যপান ও কুকুর দিয়ে আক্রমণ-বন্দিদের ভয়ংকর নির্যাতন

ইসরাইলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ভয়াবহ ও পদ্ধতিগত নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে দুটি ফিলিস্তিনি অধিকার বিষয়ক সংগঠন। সম্প্রতি মিডল ইস্ট মনিটর-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনী বন্দিদের ওপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকজন বন্দি জানান, তাদের জোর করে অ্যালকোহল পান করানো হয়েছে—যা মুসলিম বন্দিদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সরাসরি লঙ্ঘন। শুধু তাই নয়, অনেককে বিবস্ত্র করে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে।

আরেকজন বন্দি মানসিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে বলা হয় তার পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছে। পরে তিনি জানতে পারেন, সেটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা—তাকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার একটি নির্মম কৌশল।

শুধু তাই নয়, বন্দিদের পুড়িয়ে মারার অভিযোগও উঠেছে। একাধিক বন্দি বলেছেন, তাদের শরীরে ফুটন্ত পানি ঢেলে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছেন। অন্যদের কুকুর দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে, যা তাদের দেহ ও মানসিকতায় স্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছে।

ফিলিস্তিনি অধিকার সংগঠনগুলো এই নির্যাতনের ঘটনাগুলোকে ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ট্যাগ

জোরপূর্বক মদ্যপান ও কুকুর দিয়ে আক্রমণ-বন্দিদের ভয়ংকর নির্যাতন

প্রকাশিত হয়েছে: ০৪:৪০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

ইসরাইলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ভয়াবহ ও পদ্ধতিগত নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে দুটি ফিলিস্তিনি অধিকার বিষয়ক সংগঠন। সম্প্রতি মিডল ইস্ট মনিটর-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বাহিনী বন্দিদের ওপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকজন বন্দি জানান, তাদের জোর করে অ্যালকোহল পান করানো হয়েছে—যা মুসলিম বন্দিদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সরাসরি লঙ্ঘন। শুধু তাই নয়, অনেককে বিবস্ত্র করে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে।

আরেকজন বন্দি মানসিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে বলা হয় তার পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়েছে। পরে তিনি জানতে পারেন, সেটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা—তাকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার একটি নির্মম কৌশল।

শুধু তাই নয়, বন্দিদের পুড়িয়ে মারার অভিযোগও উঠেছে। একাধিক বন্দি বলেছেন, তাদের শরীরে ফুটন্ত পানি ঢেলে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছেন। অন্যদের কুকুর দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে, যা তাদের দেহ ও মানসিকতায় স্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছে।

ফিলিস্তিনি অধিকার সংগঠনগুলো এই নির্যাতনের ঘটনাগুলোকে ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।