
আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বারবার উঠে আসছে প্রশ্ন—থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘাত হলে কে হবে বিজয়ী? সামরিক শক্তি, বাজেট এবং সামগ্রিক প্রস্তুতির দিক থেকে দুটি দেশের মধ্যে বিশাল পার্থক্য স্পষ্ট।
বিশ্ব সামরিক শক্তির র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, থাইল্যান্ড রয়েছে ২৫তম স্থানে, যেখানে কম্বোডিয়া অবস্থান করছে অনেক নিচে—৯৫তম স্থানে। এই র্যাঙ্কিং মূলত সামরিক সামর্থ্য, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এবং প্রতিরক্ষা বাজেটের ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ করা হয়।
থাইল্যান্ডের বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেট ৫.৯ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কম্বোডিয়ার বাজেট মাত্র ৮৬০ মিলিয়ন ডলার। এই বিশাল বাজেট ব্যবধান সরাসরি প্রতিফলিত হয় উভয় দেশের সামরিক সরঞ্জাম ও প্রস্তুতিতে।
সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যা বিবেচনায়ও থাইল্যান্ড এগিয়ে। দেশটির সক্রিয় সামরিক সদস্য সংখ্যা ৩৬০,০০০, যার মধ্যে ২০০,০০০ রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে। বিপরীতে, কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী ২২১,০০০ সদস্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও রিজার্ভ ফোর্স নেই।
সামরিক সরঞ্জামের দিক থেকেও থাইল্যান্ডের আধিপত্য স্পষ্ট। থাইল্যান্ডের রয়েছে ৪৯৩টি সামরিক বিমান, যেখানে কম্বোডিয়ার মাত্র ২৫টি। নৌবাহিনীতে থাইল্যান্ডের রয়েছে ২৯৩টি জাহাজ, আর কম্বোডিয়ার মাত্র ২০টি। যদিও ট্যাঙ্কের সংখ্যায় কম্বোডিয়া (৬৪৪টি) অল্প ব্যবধানে থাইল্যান্ডকে (৬৩৫টি) ছাড়িয়ে গেছে, তবুও অন্যান্য প্রতিরক্ষা খাতে তাদের ঘাটতি স্পষ্ট।
🇹🇭 থাইল্যান্ড বনাম 🇰🇭 কম্বোডিয়া: সামরিক শক্তির তুলনামূলক চিত্র
বিভাগ | থাইল্যান্ড 🇹🇭 | কম্বোডিয়া 🇰🇭 |
---|---|---|
সামরিক শক্তি র্যাঙ্ক | ২৫তম | ৯৫তম |
প্রতিরক্ষা বাজেট | ৫.৯ বিলিয়ন ডলার | ৮৬০ মিলিয়ন ডলার |
সক্রিয় সেনা সদস্য | ৩৬০,০০০ | ২২১,০০০ |
রিজার্ভ বাহিনী | ২০০,০০০ | ০ |
মোট বিমান সংখ্যা | ৪৯৩টি | ২৫টি |
নৌবাহিনীর জাহাজ | ২৯৩টি | ২০টি |
ট্যাঙ্কের সংখ্যা | ৬৩৫টি | ৬৪৪টি (অলঙ্কারিক বৈষম্য) |
আন্তর্জাতিক প্রভাব | আঞ্চলিক মিত্র, যুক্তরাষ্ট্রসহ | সীমিত আন্তর্জাতিক মিত্রতা |
উপসংহারে বলা যায়, সামরিক শক্তির নিরিখে থাইল্যান্ড স্পষ্টভাবে কম্বোডিয়ার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। সরাসরি সংঘাত হলে থাইল্যান্ডের জয় সম্ভাব্য, যদি না তৃতীয় কোনো দেশ কূটনৈতিক বা সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতির গতিপথ পাল্টে দেয়।