০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফের বিন আবিয়াহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাতকালে প্রধান উপদেষ্টা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও বহুমাত্রিক হবে। তিনি রাষ্ট্রদূতের প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু। দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা, ওষুধ শিল্প এবং জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা, সাশ্রয়ী শ্রমশক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে সৌদি বিনিয়োগকারীরা উৎপাদন খাত গড়ে তুলতে পারেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উত্তরস্বরূপ সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবিয়াহ বাংলাদেশের প্রতি সৌদি সরকারের আস্থা ও বন্ধুত্বের বার্তা তুলে ধরেন। তিনি জানান, সৌদি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ‘রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল’ ইতোমধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট এবং দেশের বিভিন্ন শহরে আটটি মসজিদ নির্মাণে ২ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে সৌদি সরকার।

এ সময় সৌদি রাষ্ট্রদূত অক্টোবর মাসে রিয়াদে অনুষ্ঠেয় নবম ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (FII) ফোরাম’-এ অংশগ্রহণের জন্য সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার নামে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-সৌদি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের হাতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে জনতার আঁকা একটি গ্রাফিতির স্মারক উপহার হিসেবে তুলে দেন।

সাক্ষাতে সিনিয়র সচিব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ

বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৪৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফের বিন আবিয়াহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। রোববার (২৭ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাক্ষাতকালে প্রধান উপদেষ্টা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও বহুমাত্রিক হবে। তিনি রাষ্ট্রদূতের প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু। দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা, ওষুধ শিল্প এবং জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা, সাশ্রয়ী শ্রমশক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে সৌদি বিনিয়োগকারীরা উৎপাদন খাত গড়ে তুলতে পারেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উত্তরস্বরূপ সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবিয়াহ বাংলাদেশের প্রতি সৌদি সরকারের আস্থা ও বন্ধুত্বের বার্তা তুলে ধরেন। তিনি জানান, সৌদি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ‘রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল’ ইতোমধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট এবং দেশের বিভিন্ন শহরে আটটি মসজিদ নির্মাণে ২ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে সৌদি সরকার।

এ সময় সৌদি রাষ্ট্রদূত অক্টোবর মাসে রিয়াদে অনুষ্ঠেয় নবম ‘ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (FII) ফোরাম’-এ অংশগ্রহণের জন্য সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার নামে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-সৌদি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের হাতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে জনতার আঁকা একটি গ্রাফিতির স্মারক উপহার হিসেবে তুলে দেন।

সাক্ষাতে সিনিয়র সচিব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।