চ্যাটজিপিটির সাথে আমাদের প্রতিদিনের কথোপকথন যতটাই স্বাভাবিক মনে হোক না কেন, তা কখনো কখনো হতে পারে আইনি বিপদের কারণ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে Open AI- প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের ভাবনায় ফেলে দিতে বাধ্য।
স্যাম অল্টম্যান চ্যাটজিপিটির Open AI CEO বলেন, “মানুষ চ্যাটজিপিটির সাথে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে। কিন্তু অনেকেই জানে না—এই চ্যাটগুলো প্রয়োজন হলে আইনি মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে ব্যবহার করা যেতে পারে।” তাঁর এই মন্তব্য প্রযুক্তিনির্ভর সমাজে নতুন করে গোপনীয়তার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন দিন দিন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে এর ঝুঁকিও। চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের কথোপকথন সংরক্ষণ করতে পারে। যদিও Open AI দাবি করে, এসব তথ্য তাদের মডেল উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হয় এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়, তথাপি কোনো আদালত চাইলে বা বৈধ অনুরোধ পেলে নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য হতে পারে।
সাইবার আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই চ্যাটবট ব্যবহারের সময় সচেতনতা থাকা খুবই জরুরি। ব্যবহারকারীদের প্রতি তাদের পরামর্শ—ব্যক্তিগত, আর্থিক, স্বাস্থ্যগত বা সংবেদনশীল কোনো তথ্য চ্যাটজিপিটির মতো প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা উচিত নয়।
এআই বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সতর্কতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন শুধুই প্রযুক্তি নয়, এটি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। তাই এর ব্যবহারে সচেতনতা এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার:
চ্যাটজিপিটির মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমরা হয়তো তাৎক্ষণিক সাহায্য বা তথ্য পাচ্ছি, কিন্তু এই প্রযুক্তি আমাদের কথোপকথন স্মরণে রাখে, সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে তা আইনি পরিপ্রেক্ষিতেও ব্যবহারযোগ্য হতে পারে। তাই স্যাম অল্টম্যানের এই সতর্কবার্তা—শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য এক গভীর বার্তা।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।