
ভারতে দুর্গাপূজা মানেই ইলিশের বাড়তি চাহিদা। প্রতিবছর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি চায় পশ্চিমবঙ্গ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এখনও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসেনি। এমন প্রেক্ষাপটে ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সংগঠনটি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে লেখা হয়, গত বছর তাঁর হস্তক্ষেপে ভারতে ২,৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। যদিও বাস্তবে রপ্তানি সম্ভব হয়েছিল মাত্র ৫৭৭ টন। এর আগের বছরগুলোর চিত্রও একই রকম। যেমন—২০২৩ সালে অনুমতি ছিল ৩,৯৫০ টন, রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৫৮৭ টন; ২০২২ সালে ২,৯০০ টনের বিপরীতে গেছে ১,৩০০ টন; ২০২১ সালে ৪,৬০০ টনের মধ্যে গেছে ১,২০০ টন।
চিঠিতে আক্ষেপ করে বলা হয়, প্রতি বছরই অনুমোদিত পরিমাণ ইলিশের পুরোটা রপ্তানি সম্ভব হয় না। মূল কারণ, রপ্তানির জন্য নির্ধারিত সময়সীমা—সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ দিন। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই স্বল্প সময়সীমার কারণে বিশাল পরিমাণ রপ্তানি কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এ বছর রপ্তানির অনুমতিতে যেন কোনো সময়সীমা না থাকে, সেই অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার মানুষের কাছে পদ্মার ইলিশ একটি অত্যন্ত প্রিয় ও আকাঙ্ক্ষিত খাবার।
এছাড়া চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন জানানো হয় এবং আশা প্রকাশ করা হয় যে, বর্তমান সরকারের অধীনেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও গভীর হবে।