
ইসলামের পরিভাষায় ‘আল-মুতাকাব্বির’ (ٱلْمُتَكَبِّرُ) নামটি মহান আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের একটি, যার অর্থ — “শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী” বা “মর্যাদার পরাকাষ্ঠায় অবস্থানকারী”। এই মহান নামটি আল্লাহর সেই গুণের প্রকাশ যা মানুষকে জানিয়ে দেয়— প্রকৃত গৌরব ও শ্রেষ্ঠত্ব একমাত্র তাঁরই প্রাপ্য।
পবিত্র কুরআনের সূরা হাশরের ২৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ নিজেকে এই নামে অভিহিত করেছেন, যেখানে বলা হয়— “আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি রাজাধিরাজ, পবিত্র, শান্তি-দানকারী… এবং আল-মুতাকাব্বির।” (সূরা হাশর ৫৯:২৩)।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানুষের অহংকার হয় জ্ঞান ও ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণে, যা অহেতুক আত্মম্ভরিতা এবং গর্বের জন্ম দেয়। অথচ আল্লাহর ‘অহংকার’ হলো ন্যায়সঙ্গত, কারণ তিনিই সকল সৃষ্টি, জ্ঞান, শক্তি ও গৌরবের উৎস ও একমাত্র ধারক।
বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, ‘আল-মুতাকাব্বির’ নামটি আমাদের শিক্ষা দেয় বিনয়ী হওয়ার। কারণ যিনি প্রকৃত শ্রেষ্ঠ, তিনি নিজেই অহংকারের একচ্ছত্র মালিক। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন— “যার অন্তরে একটি সরিষা পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না” (সহীহ মুসলিম)।
তাই ইসলামী মূল্যবোধে অহংকারকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। মানুষের উচিত নিজেকে সবসময় আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের সামনে ক্ষুদ্র মনে করে নম্রতা ও দীনতা অবলম্বন করা।