রাশিয়ার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়াকে “মার্কিন স্বার্থবিরোধী” আখ্যা দিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশকে কঠোর শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেন।
এর পরপরই ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম ও ভারত পেট্রোলিয়াম—এই তিনটি সরকারি কোম্পানি রুশ তেল আমদানি বন্ধ করে দেয়। যদিও কিছু বেসরকারি রিফাইনারি এখনো সীমিত পরিমাণে রুশ তেল নিচ্ছে, তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থাগুলোর এই সিদ্ধান্ত ভারত-রাশিয়া জ্বালানি বাণিজ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন নির্দেশ করে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার প্রাথমিক মূল্যছাড় এখন অনেকটাই কমে গেছে, ফলে আগের মতো লাভজনক নয় এই চুক্তি। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক চাপ এবং ভবিষ্যৎ নিষেধাজ্ঞার শঙ্কাও ভারতকে এই পথে হাঁটতে বাধ্য করেছে।
পরবর্তী সময়ে ভারত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর—বিশেষ করে সৌদি আরব ও ইরাকের দিকে ঝুঁকতে পারে। তেলের নতুন উৎস নিশ্চিত করতে ভারতের পক্ষ থেকে নতুন চুক্তি ও আলোচনা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
এই পদক্ষেপ শুধু দ্বিপক্ষীয় নয়, বরং বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে রুশ তেলের চাহিদা, মূল্য এবং এশীয় ভূরাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।