জুম্মার দিন ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় একটি দিন। এ দিনকে "সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন" বলা হয়েছে। কুরআন ও হাদীসে জুমার দিনের অনেক ফজিলত ও গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা বলা হয়েছে। নিচে জুমার দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল তুলে ধরা হলো:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“প্রত্যেক বালেগ ব্যক্তির উপর জুমার দিন গোসল করা ওয়াজিব।”
📚 (সহীহ বুখারী: ৮৭৭, মুসলিম: ৮৪৬)
জুমার দিন উত্তম পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, দাঁত মিসওয়াক করা সুন্নত।
হাদীসে এসেছে:
“যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে, তার পর প্রথম সময়ে মসজিদে যায়... সে যেন আল্লাহর রাস্তায় একটি উট কুরবানি করল।”
📚 (সহীহ বুখারী: ৮৮১)
রাসূল (সা.) বলেন:
“যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে নূর সৃষ্টি হয়।”
📚 (সহীহ জামে: ৬৪৭০)
নবী (সা.) বলেন:
“তোমরা জুমার দিন আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো।”
📚 (আবু দাউদ: ১৫৩১)
জুমার নামাজের খুৎবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ফরজসমতুল্য গুরুত্বের।
রাসূল (সা.) বলেন:
“জুমার দিনে একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা তাঁকে প্রদান করা হয়।”
📚 (সহীহ বুখারী: ৯৩৫)
🔹 অনেক উলামার মতে, এ সময়টি আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।
এই দিনে বেশি বেশি নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও দান-সদকা করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।