০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“শুধু আমেরিকান বাজার নির্ভর হওয়া যাবে না”— আমীর খসরুর

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে ‘সন্তোষজনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তবে তিনি মনে করেন, এর পেছনের সামগ্রিক আলোচনার বিষয়গুলো স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমীর খসরু বলেন, “এটা জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। এখন যেই ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছে, তাতে প্রতিযোগিতার দিক থেকে আমরা সন্তোষজনক অবস্থানে আছি। পাকিস্তানে ১৯%, ভিয়েতনামে ২০%, ভারতে ২৫%, আর আমাদের জন্য ২০%—যা প্রতিযোগিতামূলক ট্যারিফ কাঠামোর মধ্যে পড়ে।”

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা কেবলমাত্র ট্যারিফ কমানোর বিষয়টাই জানি, কিন্তু এর বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে, সেটা না জানা পর্যন্ত এর পূর্ণ ইমপ্যাক্ট বলা যাবে না। এটা তো একটা প্যাকেজ, যার মধ্যে নানা সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। আলাপ-আলোচনার অনেক দিকই এখনও অজানা।”

ব্যবসায়ীদের স্বস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ২০% ট্যারিফ আমাদের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করবে না, তাই আপাতত এটি সন্তোষজনক। কিন্তু পেছনের আলোচনাগুলো জানতে পারলে আমরা প্রকৃত মূল্যায়ন করতে পারব।”

সম্প্রতি বাণিজ্য সচিবের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে, সেটির সঙ্গে এই শুল্ক হারের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা—জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, “না, কিছু না কিছু তো করতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি মূলত তাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর কৌশলের অংশ। আমাদের দেখতে হবে এই চাপ আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা ও রপ্তানিকারকরা কতটা ধারণ করতে পারছে।”

তিনি আরও বলেন, “এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সমঝোতা, যার ব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকা উচিত। দেশের মানুষের ও ব্যবসায়ীদের জানার অধিকার আছে—আমরা কী পেলাম আর কী দিলাম।”

বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্য কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুধু আমেরিকান বাজারের ওপর নির্ভর করে আমরা এগোতে পারি না। আমাদের রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যময় (ডাইভারসিফাইড) করতে হবে—দেশে ও বিদেশে দু’দিকেই। অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য এটা আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ।”

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“শুধু আমেরিকান বাজার নির্ভর হওয়া যাবে না”— আমীর খসরুর

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:৪৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তকে ‘সন্তোষজনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তবে তিনি মনে করেন, এর পেছনের সামগ্রিক আলোচনার বিষয়গুলো স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমীর খসরু বলেন, “এটা জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। এখন যেই ট্যারিফ নির্ধারিত হয়েছে, তাতে প্রতিযোগিতার দিক থেকে আমরা সন্তোষজনক অবস্থানে আছি। পাকিস্তানে ১৯%, ভিয়েতনামে ২০%, ভারতে ২৫%, আর আমাদের জন্য ২০%—যা প্রতিযোগিতামূলক ট্যারিফ কাঠামোর মধ্যে পড়ে।”

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা কেবলমাত্র ট্যারিফ কমানোর বিষয়টাই জানি, কিন্তু এর বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে, সেটা না জানা পর্যন্ত এর পূর্ণ ইমপ্যাক্ট বলা যাবে না। এটা তো একটা প্যাকেজ, যার মধ্যে নানা সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। আলাপ-আলোচনার অনেক দিকই এখনও অজানা।”

ব্যবসায়ীদের স্বস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ২০% ট্যারিফ আমাদের রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করবে না, তাই আপাতত এটি সন্তোষজনক। কিন্তু পেছনের আলোচনাগুলো জানতে পারলে আমরা প্রকৃত মূল্যায়ন করতে পারব।”

সম্প্রতি বাণিজ্য সচিবের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে, সেটির সঙ্গে এই শুল্ক হারের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা—জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, “না, কিছু না কিছু তো করতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি মূলত তাদের পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর কৌশলের অংশ। আমাদের দেখতে হবে এই চাপ আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা ও রপ্তানিকারকরা কতটা ধারণ করতে পারছে।”

তিনি আরও বলেন, “এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সমঝোতা, যার ব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকা উচিত। দেশের মানুষের ও ব্যবসায়ীদের জানার অধিকার আছে—আমরা কী পেলাম আর কী দিলাম।”

বাংলাদেশের সামগ্রিক বাণিজ্য কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুধু আমেরিকান বাজারের ওপর নির্ভর করে আমরা এগোতে পারি না। আমাদের রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যময় (ডাইভারসিফাইড) করতে হবে—দেশে ও বিদেশে দু’দিকেই। অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য এটা আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ।”