০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘রাজনীতি অভিশাপ’: ফারিয়ার পোস্টে তীব্র ক্ষোভ ও প্রার্থনা

সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “এমন এক দেশে জন্ম, কার কাছে বিচার দেবো, জানি না।”

গত জুলাইয়ের আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে সরব থাকায় শাসকদলের রোষানলে পড়েছিলেন শবনম ফারিয়া। তবুও তিনি চুপ থাকেননি—সামাজিক মাধ্যমেই বারবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তবে এবার তার কণ্ঠে শোনা গেল গভীর নাগরিক হতাশা।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “এক পার্টির বড়রা টাকা মেরে ভাগছে, ছোটরা অনলাইনে জুলাইকে অপমান করে সেই শোক কমায়। আর বাকিরা চাঁদাবাজি/ডোনেশন/হাদিয়া নিয়ে কামড়া-কামড়ি করে পারাপারের রাস্তা ঠিকঠাক করে!”

নিজেকে ‘সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মাঝখানে আমরা সাধারণ মানুষ, নীরব দর্শক হয়ে রঙিন তামাশা দেখি।”

সমালোচনার মুখে পড়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ফারিয়া বলেন, “কিছু বললেই এক পক্ষ বলে, ‘ডলার খেয়েছেন, লাল স্বাধীনতা কেমন লাগে?’ আর অন্য পক্ষ বলে, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর! ১৬ বছর কিছু বলেননি কেন!’”

পাসপোর্ট সংকট নিয়েও হতাশা প্রকাশ করে অভিনেত্রী লিখেছেন, “এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না! কই যাবো আমরা?”

পোস্টের শেষ অংশে দেশ ও ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করে তিনি লেখেন, “হে আল্লাহ, রাজনীতি নামক এই অভিশাপ থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করো। আমিন।”

স্ট্যাটাসের নিচে একজন মন্তব্য করেন, “এটাই তো ছেয়েচিলেন আপনারা! সুন্দর একটা দেশকে পানিতে নামাইয়া এখন নাটক করেন। ও আপনি তো নাটকেরই লোক, আপনাদের দ্বারাই মানায়!”

জবাবে ফারিয়া বলেন, “আপনাদের বড়দের চুরি চোট্টামি একটু কম করলে, আর জুলাইয়ে পোলাপানদের গুলি না করলে আমাদের এতো কিছু করতে হতো না!”

শবনম ফারিয়ার এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ তার বক্তব্যকে সাহসিকতা হিসেবে দেখছেন, কেউবা আবার সমালোচনায় মুখর।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‘রাজনীতি অভিশাপ’: ফারিয়ার পোস্টে তীব্র ক্ষোভ ও প্রার্থনা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “এমন এক দেশে জন্ম, কার কাছে বিচার দেবো, জানি না।”

গত জুলাইয়ের আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে সরব থাকায় শাসকদলের রোষানলে পড়েছিলেন শবনম ফারিয়া। তবুও তিনি চুপ থাকেননি—সামাজিক মাধ্যমেই বারবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তবে এবার তার কণ্ঠে শোনা গেল গভীর নাগরিক হতাশা।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “এক পার্টির বড়রা টাকা মেরে ভাগছে, ছোটরা অনলাইনে জুলাইকে অপমান করে সেই শোক কমায়। আর বাকিরা চাঁদাবাজি/ডোনেশন/হাদিয়া নিয়ে কামড়া-কামড়ি করে পারাপারের রাস্তা ঠিকঠাক করে!”

নিজেকে ‘সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মাঝখানে আমরা সাধারণ মানুষ, নীরব দর্শক হয়ে রঙিন তামাশা দেখি।”

সমালোচনার মুখে পড়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ফারিয়া বলেন, “কিছু বললেই এক পক্ষ বলে, ‘ডলার খেয়েছেন, লাল স্বাধীনতা কেমন লাগে?’ আর অন্য পক্ষ বলে, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর! ১৬ বছর কিছু বলেননি কেন!’”

পাসপোর্ট সংকট নিয়েও হতাশা প্রকাশ করে অভিনেত্রী লিখেছেন, “এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না! কই যাবো আমরা?”

পোস্টের শেষ অংশে দেশ ও ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করে তিনি লেখেন, “হে আল্লাহ, রাজনীতি নামক এই অভিশাপ থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করো। আমিন।”

স্ট্যাটাসের নিচে একজন মন্তব্য করেন, “এটাই তো ছেয়েচিলেন আপনারা! সুন্দর একটা দেশকে পানিতে নামাইয়া এখন নাটক করেন। ও আপনি তো নাটকেরই লোক, আপনাদের দ্বারাই মানায়!”

জবাবে ফারিয়া বলেন, “আপনাদের বড়দের চুরি চোট্টামি একটু কম করলে, আর জুলাইয়ে পোলাপানদের গুলি না করলে আমাদের এতো কিছু করতে হতো না!”

শবনম ফারিয়ার এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ তার বক্তব্যকে সাহসিকতা হিসেবে দেখছেন, কেউবা আবার সমালোচনায় মুখর।