০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় একই পরিবারের ৫ জনসহ নিহত

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা একই পরিবারের ৫ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রশিদনগর ইউনিয়নের একটি রেলক্রসিংয়ে।

নিহতরা হলেন—অটোরিকশা চালক হাবিব উল্লাহ (৫০), যাত্রী রেনু আরা (৪৫), তার বোন আসমা আরা (১৩) এবং রেনু আরার দুই শিশু সন্তান আশেক উল্লাহ (৩) ও আতা উল্লাহ (১ বছর ৬ মাস)।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান জানান, অটোরিকশাটি কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে রামুর দিকে যাচ্ছিল। পথে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। ট্রেনটি অটোরিকশাটি কিছুদূর ঠেলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয় এবং একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করলে কিছু সময়ের জন্য কক্সবাজারমুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে থাকে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার স্থানটি আনঅ্যাটেন্ডেড লেভেল ক্রসিং, যেখানে গেটম্যান নিযুক্ত নেই। সেখানে সাঁটানো নির্দেশনায় নিজ দায়িত্বে পারাপারের কথা উল্লেখ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয় এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীকে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, “দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ও ভবিষ্যৎ সুপারিশ জানতে তদন্ত চলছে।”

ট্যাগ

রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় একই পরিবারের ৫ জনসহ নিহত

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা একই পরিবারের ৫ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রশিদনগর ইউনিয়নের একটি রেলক্রসিংয়ে।

নিহতরা হলেন—অটোরিকশা চালক হাবিব উল্লাহ (৫০), যাত্রী রেনু আরা (৪৫), তার বোন আসমা আরা (১৩) এবং রেনু আরার দুই শিশু সন্তান আশেক উল্লাহ (৩) ও আতা উল্লাহ (১ বছর ৬ মাস)।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান জানান, অটোরিকশাটি কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে রামুর দিকে যাচ্ছিল। পথে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। ট্রেনটি অটোরিকশাটি কিছুদূর ঠেলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয় এবং একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করলে কিছু সময়ের জন্য কক্সবাজারমুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে থাকে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার স্থানটি আনঅ্যাটেন্ডেড লেভেল ক্রসিং, যেখানে গেটম্যান নিযুক্ত নেই। সেখানে সাঁটানো নির্দেশনায় নিজ দায়িত্বে পারাপারের কথা উল্লেখ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয় এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীকে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, “দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ও ভবিষ্যৎ সুপারিশ জানতে তদন্ত চলছে।”