০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোর সুগার মিলে ডাকাতি, লুট ৯০ লাখের মালামাল

নাটোর সুগার মিলে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহরের হুগলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত মিলের কারখানায় একদল মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত এই ঘটনা ঘটায়।

ডাকাতরা নিরাপত্তারক্ষীদের হাত-পা বেঁধে মিলের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ প্রায় ৯০ লাখ ৪ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাতরা কারখানার বেয়ারিং, ওয়েল্ডিং ক্যাবল, ব্রাশ, পাম্পের যন্ত্রাংশ, সিরাপ পাইপ, শ্যাফট, ফিটিং বুশ, রোটর ব্রাশ, বৈদ্যুতিক তারসহ মূল্যবান সরঞ্জাম এবং ইলেকট্রিশিয়ান রুম ও আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে।

ডাকাতির ঘটনায় কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) ফেরদৌসুল আলমকে প্রধান করে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান জানান, ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তারক্ষীদের জিম্মি করে কারখানায় ঢুকে ডাকাতি করে। লুট হওয়া মালামালের পরিমাণ আনুমানিক ৯০ লাখ ৪ হাজার টাকা।

নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন জানান, ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসেবে আটজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

ট্যাগ

নাটোর সুগার মিলে ডাকাতি, লুট ৯০ লাখের মালামাল

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

নাটোর সুগার মিলে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহরের হুগলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত মিলের কারখানায় একদল মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত এই ঘটনা ঘটায়।

ডাকাতরা নিরাপত্তারক্ষীদের হাত-পা বেঁধে মিলের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ প্রায় ৯০ লাখ ৪ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাতরা কারখানার বেয়ারিং, ওয়েল্ডিং ক্যাবল, ব্রাশ, পাম্পের যন্ত্রাংশ, সিরাপ পাইপ, শ্যাফট, ফিটিং বুশ, রোটর ব্রাশ, বৈদ্যুতিক তারসহ মূল্যবান সরঞ্জাম এবং ইলেকট্রিশিয়ান রুম ও আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে।

ডাকাতির ঘটনায় কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) ফেরদৌসুল আলমকে প্রধান করে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান জানান, ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তারক্ষীদের জিম্মি করে কারখানায় ঢুকে ডাকাতি করে। লুট হওয়া মালামালের পরিমাণ আনুমানিক ৯০ লাখ ৪ হাজার টাকা।

নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন জানান, ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসেবে আটজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।