
কিয়ামতের দিন কাফেররা জাহান্নাম দেখেই স্পষ্ট বুঝে ফেলবে, তারা নিশ্চিতভাবেই সেখানেই পতিত হচ্ছে। তাদের আর কোনো মুক্তির উপায় নেই, কোনো সুপারিশ বা করুণা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে না। তাদের এই অনুধাবন ও অনুশোচনার কথা কুরআনের একাধিক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
সুরা আস-সাজদাহর ১২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “হায়, আপনি যদি দেখতেন! যখন অপরাধীরা তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে অধোবদন হয়ে বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখেছি ও শুনেছি। এখন আপনি আমাদেরকে আবার পাঠিয়ে দিন, আমরা সৎকাজ করব। আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী।” কিন্তু তখন আর ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
আল্লাহ তাআলা সূরা ক্বাফে বলেন, “তুমি এ দিন সম্বন্ধে উদাসীন ছিলে, এখন আমি তোমার সামনে থেকে পর্দা উন্মোচন করেছি। আজ তোমার দৃষ্টি প্রখর।” (৫০:২২)। অর্থাৎ দুনিয়ায় তারা যেসব বিষয়ে উদাসীন ছিল—কিয়ামত, আখিরাত, জাহান্নাম—তা আজ তাদের সামনে চরম বাস্তবতায় উপস্থিত হবে।
সূরা মারইয়ামের ৩৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়, “যেদিন তারা আমার কাছে আসবে, সেদিন তারা কত স্পষ্ট শুনবে ও দেখবে! কিন্তু জালিমরা আজ স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে।”
এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “কিয়ামতের দিনের সময় কাফেরের জন্য পঞ্চাশ হাজার বছর নির্ধারণ করা হবে। আর কাফের চল্লিশ বছরের রাস্তা থেকে জাহান্নাম দেখে নিশ্চিত হয়ে যাবে যে সে তাতে পতিত হচ্ছে।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭৫)।
এই ভয়াবহ দৃশ্য ও বাস্তবতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, জীবনের একমাত্র নিরাপদ সময় হলো এখন—এই দুনিয়ার জীবন। এখানেই ফিরে আসতে হবে আল্লাহর পথে, এখানেই তাওবা করতে হবে। না হলে সেই দিন কোনো অনুশোচনাই আর কাজে আসবে না।