১০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানব পাচার রোধে যৌথভাবে কাজ করবে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন-চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার আওতায় ব্রিটেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কিছু অভিবাসীকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো শুরু করবে। এই পরিকল্পনা ‘একজন প্রবেশ, একজন বেরিয়ে যাও’ নীতির ভিত্তিতে গঠিত, যেখানে বৈধভাবে ব্রিটেনে পারিবারিক সম্পর্ক থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তাদের পরিবর্তে যারা অবৈধভাবে ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেছেন, তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।

এই নতুন পাইলট প্রকল্পে মানব-পাচার রোধে যৌথ প্রচেষ্টা গুরুত্ব পাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো ব্রিটেনে অবৈধ প্রবেশের হার কমানো এবং আশ্রয় প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ ও মানবিক করা। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর এই চুক্তি প্রস্তুত হয়েছে, যা মঙ্গলবার অনুমোদিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা বৈধভাবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে যোগ দিতে চান, তাদের জন্য একটি ‘সেফ লিগ্যাল রুট’ চালু করা হচ্ছে। এতে করে চ্যানেল পাড়ি দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনি যাত্রা নিরুৎসাহিত হবে। অন্যদিকে, ফ্রান্সও মানব পাচারকারী নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে এবং ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের গ্রহণে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই উদ্যোগটি ইউরোপজুড়ে অভিবাসন নিয়ে চলমান বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে, যেখানে একদিকে মানবিক মূল্যবোধের প্রশ্ন, অন্যদিকে সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ জনমতের চাপ—সব মিলিয়ে নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি জটিল সমীকরণ।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের চুক্তি ইউরোপীয় অভিবাসন নীতিতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। তবে বাস্তবে এই পরিকল্পনা কতটা কার্যকর হবে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে—তা সময়ই বলে দেবে।

ট্যাগ

মানব পাচার রোধে যৌথভাবে কাজ করবে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৫৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন-চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার আওতায় ব্রিটেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কিছু অভিবাসীকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো শুরু করবে। এই পরিকল্পনা ‘একজন প্রবেশ, একজন বেরিয়ে যাও’ নীতির ভিত্তিতে গঠিত, যেখানে বৈধভাবে ব্রিটেনে পারিবারিক সম্পর্ক থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তাদের পরিবর্তে যারা অবৈধভাবে ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেছেন, তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।

এই নতুন পাইলট প্রকল্পে মানব-পাচার রোধে যৌথ প্রচেষ্টা গুরুত্ব পাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো ব্রিটেনে অবৈধ প্রবেশের হার কমানো এবং আশ্রয় প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ ও মানবিক করা। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর এবং ফরাসি কর্তৃপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর এই চুক্তি প্রস্তুত হয়েছে, যা মঙ্গলবার অনুমোদিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা বৈধভাবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে যোগ দিতে চান, তাদের জন্য একটি ‘সেফ লিগ্যাল রুট’ চালু করা হচ্ছে। এতে করে চ্যানেল পাড়ি দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনি যাত্রা নিরুৎসাহিত হবে। অন্যদিকে, ফ্রান্সও মানব পাচারকারী নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে এবং ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের গ্রহণে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই উদ্যোগটি ইউরোপজুড়ে অভিবাসন নিয়ে চলমান বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে, যেখানে একদিকে মানবিক মূল্যবোধের প্রশ্ন, অন্যদিকে সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ জনমতের চাপ—সব মিলিয়ে নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি জটিল সমীকরণ।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের চুক্তি ইউরোপীয় অভিবাসন নীতিতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। তবে বাস্তবে এই পরিকল্পনা কতটা কার্যকর হবে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে—তা সময়ই বলে দেবে।