০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে আটক ব্রিটিশ দম্পতি স্থানান্তরিত ‘সবচেয়ে খারাপ’ কারাগারে

ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক এক ব্রিটিশ দম্পতিকে সাত মাস ধরে কারাগারে রাখার পর সম্প্রতি তেহরান ও তার আশপাশের দুটি berüchtigte বা কুখ্যাত কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। দম্পতির ছেলে সোমবার (৪ আগস্ট) বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই তথ্য জানিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক কল্যাণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ছেলের ভাষ্যমতে, তার মা-বাবা এখন এমন দুটি কারাগারে আছেন যা “ইরানের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য berüchtigt” হিসেবে পরিচিত। আলাদা কারাগারে স্থানান্তর করায় তাদের মধ্যে যোগাযোগের সুযোগও অত্যন্ত সীমিত হয়ে পড়েছে। পরিবার মনে করছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বিচ্ছিন্ন রাখা হচ্ছে যাতে মানসিক চাপে ফেলা যায়।

দম্পতিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হলেও এখনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হয়নি বা বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক আইন ও বিচার প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান অতীতে একাধিকবার কূটনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে বিদেশি নাগরিকদের আটকের আশ্রয় নিয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকেও এর আগেও একই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে যে ইরান “রাষ্ট্রীয় পণবন্দী” হিসেবে বিদেশিদের ব্যবহার করে থাকে।

এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এই ঘটনায় নজর রাখছে এবং ইরান সরকারের কাছে মানবিক সহানুভূতির ভিত্তিতে দম্পতির মুক্তির দাবি জানিয়ে চলেছে।

এই ঘটনার ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পুনরায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে যে ইরানে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে এবং ইরানের বিচারব্যবস্থা স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।

ট্যাগ

ইরানে আটক ব্রিটিশ দম্পতি স্থানান্তরিত ‘সবচেয়ে খারাপ’ কারাগারে

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক এক ব্রিটিশ দম্পতিকে সাত মাস ধরে কারাগারে রাখার পর সম্প্রতি তেহরান ও তার আশপাশের দুটি berüchtigte বা কুখ্যাত কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। দম্পতির ছেলে সোমবার (৪ আগস্ট) বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই তথ্য জানিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক কল্যাণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ছেলের ভাষ্যমতে, তার মা-বাবা এখন এমন দুটি কারাগারে আছেন যা “ইরানের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য berüchtigt” হিসেবে পরিচিত। আলাদা কারাগারে স্থানান্তর করায় তাদের মধ্যে যোগাযোগের সুযোগও অত্যন্ত সীমিত হয়ে পড়েছে। পরিবার মনে করছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বিচ্ছিন্ন রাখা হচ্ছে যাতে মানসিক চাপে ফেলা যায়।

দম্পতিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হলেও এখনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হয়নি বা বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক আইন ও বিচার প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান অতীতে একাধিকবার কূটনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে বিদেশি নাগরিকদের আটকের আশ্রয় নিয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকেও এর আগেও একই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে যে ইরান “রাষ্ট্রীয় পণবন্দী” হিসেবে বিদেশিদের ব্যবহার করে থাকে।

এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এই ঘটনায় নজর রাখছে এবং ইরান সরকারের কাছে মানবিক সহানুভূতির ভিত্তিতে দম্পতির মুক্তির দাবি জানিয়ে চলেছে।

এই ঘটনার ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পুনরায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে যে ইরানে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে এবং ইরানের বিচারব্যবস্থা স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।