০৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“আর-রাহমান” নামের মাহাত্ম্য: আল্লাহর দয়া বিশ্বজগতজুড়ে

ইসলাম ধর্মে আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে “আর-রাহমান” (الرحمن) অন্যতম প্রধান ও বিস্ময়কর অর্থবাহী একটি নাম। এই মহান নামের অর্থ — “পরম দয়ালু”, যিনি তাঁর সৃষ্ট জগতে সীমাহীন দয়া ও মমতা ছড়িয়ে দিয়েছেন। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, “আর-রাহমান” নামটি এমন এক গুণের পরিচায়ক যা মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকল সৃষ্টির ওপর আল্লাহর দয়ার ছায়া বিস্তার করে।

পবিত্র কুরআনে বহুবার আল্লাহ নিজেকে ‘আর-রাহমান’ নামে পরিচিত করেছেন।
সূরা ত্বাহা’র ৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন –

“আর-রাহমান আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন” (২০:৫)।

এছাড়া পবিত্র কুরআনের ৫৫তম সূরার নামই “আর-রাহমান”। এই সূরায় আল্লাহর দয়ার বিভিন্ন দিক বিশদভাবে বিবৃত হয়েছে, যেখানে বহুবার প্রশ্ন করা হয়েছে —

“তোমরা তোমাদের প্রভুর কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?”

আলেমরা বলেন, এই নামটি আল্লাহর সেই দয়ার প্রতিফলন, যা শুধু মুসলমানদের ওপর নয়, বরং অবিশ্বাসী, পশু-পাখি, উদ্ভিদসহ প্রতিটি জীবের ওপরও সমভাবে বর্ষিত হচ্ছে। আমরা যখন নিঃশ্বাস নেই, পানি পান করি কিংবা নিদ্রায় যাব — সবই “আর-রাহমান”-এর দয়ার ফসল।

তবে একইসঙ্গে মনে রাখা দরকার, কুরআনের ভাষায় আর-রাহমান-এর দয়া দুনিয়ায় সবার জন্য বিস্তৃত হলেও আখিরাতে শুধুমাত্র মুমিনদের জন্যই থাকবে আরেক নাম “আর-রাহিম” এর পরিপূর্ণ প্রকাশ।

ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন মুসলমানের উচিত দৈনন্দিন জীবনে “আর-রাহমান” নামটি স্মরণ করে নিজেও দয়ার গুণে পরিপূর্ণ হওয়া। পরিবার, সমাজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিও দয়ার মনোভাব রাখা ইসলামের প্রকৃত চেতনার অংশ।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“আর-রাহমান” নামের মাহাত্ম্য: আল্লাহর দয়া বিশ্বজগতজুড়ে

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

ইসলাম ধর্মে আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে “আর-রাহমান” (الرحمن) অন্যতম প্রধান ও বিস্ময়কর অর্থবাহী একটি নাম। এই মহান নামের অর্থ — “পরম দয়ালু”, যিনি তাঁর সৃষ্ট জগতে সীমাহীন দয়া ও মমতা ছড়িয়ে দিয়েছেন। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, “আর-রাহমান” নামটি এমন এক গুণের পরিচায়ক যা মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকল সৃষ্টির ওপর আল্লাহর দয়ার ছায়া বিস্তার করে।

পবিত্র কুরআনে বহুবার আল্লাহ নিজেকে ‘আর-রাহমান’ নামে পরিচিত করেছেন।
সূরা ত্বাহা’র ৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন –

“আর-রাহমান আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন” (২০:৫)।

এছাড়া পবিত্র কুরআনের ৫৫তম সূরার নামই “আর-রাহমান”। এই সূরায় আল্লাহর দয়ার বিভিন্ন দিক বিশদভাবে বিবৃত হয়েছে, যেখানে বহুবার প্রশ্ন করা হয়েছে —

“তোমরা তোমাদের প্রভুর কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে?”

আলেমরা বলেন, এই নামটি আল্লাহর সেই দয়ার প্রতিফলন, যা শুধু মুসলমানদের ওপর নয়, বরং অবিশ্বাসী, পশু-পাখি, উদ্ভিদসহ প্রতিটি জীবের ওপরও সমভাবে বর্ষিত হচ্ছে। আমরা যখন নিঃশ্বাস নেই, পানি পান করি কিংবা নিদ্রায় যাব — সবই “আর-রাহমান”-এর দয়ার ফসল।

তবে একইসঙ্গে মনে রাখা দরকার, কুরআনের ভাষায় আর-রাহমান-এর দয়া দুনিয়ায় সবার জন্য বিস্তৃত হলেও আখিরাতে শুধুমাত্র মুমিনদের জন্যই থাকবে আরেক নাম “আর-রাহিম” এর পরিপূর্ণ প্রকাশ।

ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন মুসলমানের উচিত দৈনন্দিন জীবনে “আর-রাহমান” নামটি স্মরণ করে নিজেও দয়ার গুণে পরিপূর্ণ হওয়া। পরিবার, সমাজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিও দয়ার মনোভাব রাখা ইসলামের প্রকৃত চেতনার অংশ।