০৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ ফ্রান্সে দাবানলে এক নিহত, ২৫ বসতবাড়ি ধ্বংস

ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় ‘অড’ অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে প্রায় ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটি। আগুন প্যারিসের চেয়েও বড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, এতে অন্তত একজন নিহত এবং ২৫টি বসতবাড়ি ধ্বংস হয়। সাঁ লরঁ দ্য লা ক্যাবরিস গ্রামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়, যেখানে আগুন দ্রুত বন ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বাধ্য হন। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু এই দাবানলকে “এক নজিরবিহীন দুর্যোগ” হিসেবে বর্ণনা করেন। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর পুরো ফ্রান্সজুড়ে পোড়া এলাকার সমান। ১৯৪৯ সালের পর এত বড় একক দাবানল হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো। দাবানলে প্রায় ২,০০০ দমকলকর্মী নিয়োজিত আছেন এবং ২৫০০ পরিবার বিদ্যুৎহীন রয়েছে। ঘণ্টায় প্রায় ৫.৫ কিমি গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। প্রচণ্ড গরম ও দিক পরিবর্তনশীল বাতাস দাবানল নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তুলছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল ছাড়াও বসন্ত ও শরৎকালে দাবানলের ঝুঁকি বাড়ছে, এমনকি ফ্রান্সের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলেও। ইউরোপের অন্যান্য দেশে স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় তারিফা অঞ্চলে ক্যাম্পসাইটে আগুন ধরে দাবানলে রূপ নেয়, এবং পর্তুগালে চলতি বছরে ৪২ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে, যা গত বছরের তুলনায় আট গুণ বেশি।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণ ফ্রান্সে দাবানলে এক নিহত, ২৫ বসতবাড়ি ধ্বংস

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় ‘অড’ অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে প্রায় ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটি। আগুন প্যারিসের চেয়েও বড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, এতে অন্তত একজন নিহত এবং ২৫টি বসতবাড়ি ধ্বংস হয়। সাঁ লরঁ দ্য লা ক্যাবরিস গ্রামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়, যেখানে আগুন দ্রুত বন ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বাধ্য হন। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু এই দাবানলকে “এক নজিরবিহীন দুর্যোগ” হিসেবে বর্ণনা করেন। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর পুরো ফ্রান্সজুড়ে পোড়া এলাকার সমান। ১৯৪৯ সালের পর এত বড় একক দাবানল হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো। দাবানলে প্রায় ২,০০০ দমকলকর্মী নিয়োজিত আছেন এবং ২৫০০ পরিবার বিদ্যুৎহীন রয়েছে। ঘণ্টায় প্রায় ৫.৫ কিমি গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। প্রচণ্ড গরম ও দিক পরিবর্তনশীল বাতাস দাবানল নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তুলছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল ছাড়াও বসন্ত ও শরৎকালে দাবানলের ঝুঁকি বাড়ছে, এমনকি ফ্রান্সের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলেও। ইউরোপের অন্যান্য দেশে স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় তারিফা অঞ্চলে ক্যাম্পসাইটে আগুন ধরে দাবানলে রূপ নেয়, এবং পর্তুগালে চলতি বছরে ৪২ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে, যা গত বছরের তুলনায় আট গুণ বেশি।