১০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল-খালিক (الخالق) – একমাত্র সৃষ্টিকর্তা

আল্লাহ্‌ তাআলার গৌরবময় ৯৯টি নামের মধ্যে অন্যতম একটি নাম হলো “আল-খালিক” (الخالق), যার অর্থ – সৃষ্টিকর্তা। তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, যিনি কিছু না থেকেও জগতের প্রতিটি জিনিস সৃষ্টি করেছেন নির্দিষ্ট পরিমাপ, উদ্দেশ্য ও জ্ঞানের ভিত্তিতে।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন: “তিনি আল্লাহ – সৃষ্টিকর্তা, সুষম গঠনকারী ও রূপদানকারী।”
— সূরা হাশর (৫৯:২৪)

এই নামটি মানুষের ঈমান ও আত্মবিশ্বাসকে দৃঢ় করে। আল-খালিক নামের মাধ্যমে বোঝা যায়, মানবজাতি ও এই বিশ্বজগত কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়; বরং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় গঠিত। আল্লাহর সৃষ্টি নিখুঁত ও পরিপূর্ণ, যা তাঁর অসীম জ্ঞানের প্রমাণ বহন করে।

বিশ্বের প্রতিটি কণা, আকাশ-বাতাস, পাহাড়-নদী, দিন-রাত—সবকিছুই আল-খালিক-এর সৃষ্টি। এই নাম মানুষকে অহংকার থেকে দূরে থাকতে ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিনম্র থাকতে শিক্ষা দেয়।

ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, আল্লাহর এই গুণের প্রতি ঈমান আনা ও গভীরভাবে অনুধাবন করা একজন মুমিনের চিন্তাভাবনা, আচরণ ও জীবনদর্শনে গভীর প্রভাব ফেলে। এটি মানুষকে আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল করে তোলে এবং তাঁর সৃষ্টির মধ্যে চিন্তা-ভাবনা করতে উদ্বুদ্ধ করে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আল-খালিক (الخالق) – একমাত্র সৃষ্টিকর্তা

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

আল্লাহ্‌ তাআলার গৌরবময় ৯৯টি নামের মধ্যে অন্যতম একটি নাম হলো “আল-খালিক” (الخالق), যার অর্থ – সৃষ্টিকর্তা। তিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, যিনি কিছু না থেকেও জগতের প্রতিটি জিনিস সৃষ্টি করেছেন নির্দিষ্ট পরিমাপ, উদ্দেশ্য ও জ্ঞানের ভিত্তিতে।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন: “তিনি আল্লাহ – সৃষ্টিকর্তা, সুষম গঠনকারী ও রূপদানকারী।”
— সূরা হাশর (৫৯:২৪)

এই নামটি মানুষের ঈমান ও আত্মবিশ্বাসকে দৃঢ় করে। আল-খালিক নামের মাধ্যমে বোঝা যায়, মানবজাতি ও এই বিশ্বজগত কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়; বরং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় গঠিত। আল্লাহর সৃষ্টি নিখুঁত ও পরিপূর্ণ, যা তাঁর অসীম জ্ঞানের প্রমাণ বহন করে।

বিশ্বের প্রতিটি কণা, আকাশ-বাতাস, পাহাড়-নদী, দিন-রাত—সবকিছুই আল-খালিক-এর সৃষ্টি। এই নাম মানুষকে অহংকার থেকে দূরে থাকতে ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিনম্র থাকতে শিক্ষা দেয়।

ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, আল্লাহর এই গুণের প্রতি ঈমান আনা ও গভীরভাবে অনুধাবন করা একজন মুমিনের চিন্তাভাবনা, আচরণ ও জীবনদর্শনে গভীর প্রভাব ফেলে। এটি মানুষকে আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল করে তোলে এবং তাঁর সৃষ্টির মধ্যে চিন্তা-ভাবনা করতে উদ্বুদ্ধ করে।