০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় পাঁচজন গ্রেপ্তার

গাজীপুর জেলার চান্দনা চৌরাস্তা (চান্দনা চৌরাস্তা) এলাকায় গত ৭ আগস্ট রাতে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর গ্রেপ্তারের অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাথমিকভাবে পাঁচজনকে আটক করছে বলেছে; পরে বিভিন্ন অভিযানে গ্রেপ্তার সংখ্যা বাড়ার সংবাদও পাওয়া গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এই ঘটনা তদন্ত করছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে বাসন থানা ও অন্যান্য সংস্থায় মামলা করা হয়েছে।

ঘটনা কীভাবে ঘটলো

প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জনসমাগমের মধ্যে কয়েকজন ধারালো অস্ত্রধারী ব্যক্তি এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। ওই সময় সাংবাদিক তুহিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ওই হামলাটির ভিডিও/দৃশ্য ধারণ করছিলেন বলে পুলিশ ধারণা করছে। পরে তাকে ধাওয়া করে ও কয়েকটি স্থানে কুপিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনাস্থলিয় সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিহত তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন — তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবংপরবর্তীতে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিবরণ (পুলিশি বক্তব্য)

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ভবানীপুর থেকে ফয়সাল (ওরফে কেটু মিজান), তার স্ত্রী গোলাপী ও সুমন, উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিন এবং হোতাপাড়া থেকে স্বাধীন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে—পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশি অভিযান ও সিসিটিভি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে শনাক্ত করে আটক বলে জানানো হয়েছে। পরে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি ও অভিযান করে আরও আটককৃতার খবর পাওয়া গেছে; কিছু সংবাদে গ্রেপ্তার সংখ্যা পরে সাতজন পর্যন্ত বাড়ার উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন; চূড়ান্ত তালিকা ও আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তদন্তে ব্যবহার করা প্রযুক্তি প্রাথমিক সূচনা

পুলিশ সংবাদে বলেছেন যে—সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল লোকেশন ডেটা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ যাচাই করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তল্লাশির মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে; তদন্তে যে প্রমাণাদি জড়িত তা সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে তদন্তের স্বার্থে কিছু তথ্য সাময়িক প্রকাশ করা হচ্ছে না।

পরিবার স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম নামীয় ব্যক্তি বাসন থানায় অজ্ঞাতনামি আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন; পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত ন্যায়বিচার চাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠন ও সহকর্মীরা ক্ষোভ জানিয়ে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। স্থানীয় মানুষ ও সাংবাদিক সমাজ স্মৃতিস্তম্ভ/প্রতিরোধমূলক সমাবেশেরও ডাক দিয়েছে বলে সংবাদে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক স্বাধীন সংস্থার প্রতিক্রিয়া

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (RSF) এবং অন্যান্য মিডিয়া সুরক্ষা সংগঠন এই হত্যা কাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে। কিছু আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সাংবাদিক অধিকার সংস্থাও বাংলাদেশ প্রশাসনকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

আইনি ধারা ভবিষ্যৎ প্রক্রিয়া

বিনা-দীর্ঘ বিষয়ে মামলা দায়ের হওয়ার পরে পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি প্রাথমিক সাক্ষ্য, সিসিটিভি ফুটেজ এবং গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ মিলিয়ে চূড়ান্ত অভিযোগ তোলা ও আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ফরেনসিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। পুলিশ কর্মকর্তা ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বলবেন বলে জানিয়েছে।

সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ সতর্কবার্তা

  • ঘটনার ধরন ও যে পরিমাণ প্রকাশ্যভাবেই এটি সংঘটিত হয়েছে তাতে স্থানীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে; নির্মূলকরণ ও প্রতিরোধে আরো তৎপর হতে হবে।
  • সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে মাঠে কাজ করার সময় আত্ম সুরক্ষার উপায়, দ্রুত সহায়তা নেবার যোগাযোগ চ্যানেল ও প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়ার ত্বরান্বিত ব্যবস্থা জরুরি।
  • প্রশাসন দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিলেও চূড়ান্ততা নিশ্চিত করতে জরুরি—স্বচ্ছতা, দ্রুততার সঙ্গে প্রমাণ উপস্থাপন ও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ অপরিহার্য।

 

 

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় পাঁচজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৪৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

গাজীপুর জেলার চান্দনা চৌরাস্তা (চান্দনা চৌরাস্তা) এলাকায় গত ৭ আগস্ট রাতে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর গ্রেপ্তারের অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাথমিকভাবে পাঁচজনকে আটক করছে বলেছে; পরে বিভিন্ন অভিযানে গ্রেপ্তার সংখ্যা বাড়ার সংবাদও পাওয়া গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এই ঘটনা তদন্ত করছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে বাসন থানা ও অন্যান্য সংস্থায় মামলা করা হয়েছে।

ঘটনা কীভাবে ঘটলো

প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জনসমাগমের মধ্যে কয়েকজন ধারালো অস্ত্রধারী ব্যক্তি এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। ওই সময় সাংবাদিক তুহিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ওই হামলাটির ভিডিও/দৃশ্য ধারণ করছিলেন বলে পুলিশ ধারণা করছে। পরে তাকে ধাওয়া করে ও কয়েকটি স্থানে কুপিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনাস্থলিয় সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিহত তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন — তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবংপরবর্তীতে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিবরণ (পুলিশি বক্তব্য)

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ভবানীপুর থেকে ফয়সাল (ওরফে কেটু মিজান), তার স্ত্রী গোলাপী ও সুমন, উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিন এবং হোতাপাড়া থেকে স্বাধীন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে—পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশি অভিযান ও সিসিটিভি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে শনাক্ত করে আটক বলে জানানো হয়েছে। পরে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি ও অভিযান করে আরও আটককৃতার খবর পাওয়া গেছে; কিছু সংবাদে গ্রেপ্তার সংখ্যা পরে সাতজন পর্যন্ত বাড়ার উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন; চূড়ান্ত তালিকা ও আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তদন্তে ব্যবহার করা প্রযুক্তি প্রাথমিক সূচনা

পুলিশ সংবাদে বলেছেন যে—সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল লোকেশন ডেটা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ যাচাই করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তল্লাশির মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে; তদন্তে যে প্রমাণাদি জড়িত তা সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে তদন্তের স্বার্থে কিছু তথ্য সাময়িক প্রকাশ করা হচ্ছে না।

পরিবার স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম নামীয় ব্যক্তি বাসন থানায় অজ্ঞাতনামি আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন; পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত ন্যায়বিচার চাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠন ও সহকর্মীরা ক্ষোভ জানিয়ে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। স্থানীয় মানুষ ও সাংবাদিক সমাজ স্মৃতিস্তম্ভ/প্রতিরোধমূলক সমাবেশেরও ডাক দিয়েছে বলে সংবাদে বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক স্বাধীন সংস্থার প্রতিক্রিয়া

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (RSF) এবং অন্যান্য মিডিয়া সুরক্ষা সংগঠন এই হত্যা কাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে। কিছু আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সাংবাদিক অধিকার সংস্থাও বাংলাদেশ প্রশাসনকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

আইনি ধারা ভবিষ্যৎ প্রক্রিয়া

বিনা-দীর্ঘ বিষয়ে মামলা দায়ের হওয়ার পরে পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি প্রাথমিক সাক্ষ্য, সিসিটিভি ফুটেজ এবং গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ মিলিয়ে চূড়ান্ত অভিযোগ তোলা ও আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ফরেনসিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। পুলিশ কর্মকর্তা ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বলবেন বলে জানিয়েছে।

সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ সতর্কবার্তা

  • ঘটনার ধরন ও যে পরিমাণ প্রকাশ্যভাবেই এটি সংঘটিত হয়েছে তাতে স্থানীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে; নির্মূলকরণ ও প্রতিরোধে আরো তৎপর হতে হবে।
  • সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে মাঠে কাজ করার সময় আত্ম সুরক্ষার উপায়, দ্রুত সহায়তা নেবার যোগাযোগ চ্যানেল ও প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়ার ত্বরান্বিত ব্যবস্থা জরুরি।
  • প্রশাসন দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিলেও চূড়ান্ততা নিশ্চিত করতে জরুরি—স্বচ্ছতা, দ্রুততার সঙ্গে প্রমাণ উপস্থাপন ও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ অপরিহার্য।