০৪:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চানখারপুলে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সোমবার (১১ আগস্ট) বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না। যারা বিশ্বাস করেছিল, গণহত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে পার পেয়ে যাবে কিংবা প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারবে, তাদের জন্য স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে, বিচার প্রক্রিয়া কোনোক্রমেই বন্ধ হবে না।

তিনি এসব কথা বলেন ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে।

প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আজ চানখারপুলে শিক্ষার্থী শহীদ আনাসসহ ছয়জন হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে শুরু করেন শহীদ আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। পাশাপাশি সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আনাসের মা।

গত ১৪ জুলাই এ মামলায় পলাতক চার আসামিসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন:

  • শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন

  • কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া

  • মো. ইমাজ হোসেন ইমন

  • মো. নাসিরুল ইসলাম

চানখারপুল মামলার অভিযোগ গঠন নিয়ে ৩ জুলাই দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চার আসামি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়, এতে শহীদ হন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।

ট্রাইব্যুনাল বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে চিফ প্রসিকিউটর আশ্বাস দিয়েছেন।

ট্যাগ

চানখারপুলে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সোমবার (১১ আগস্ট) বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না। যারা বিশ্বাস করেছিল, গণহত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে পার পেয়ে যাবে কিংবা প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারবে, তাদের জন্য স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে, বিচার প্রক্রিয়া কোনোক্রমেই বন্ধ হবে না।

তিনি এসব কথা বলেন ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে।

প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আজ চানখারপুলে শিক্ষার্থী শহীদ আনাসসহ ছয়জন হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে শুরু করেন শহীদ আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। পাশাপাশি সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আনাসের মা।

গত ১৪ জুলাই এ মামলায় পলাতক চার আসামিসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন:

  • শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন

  • কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া

  • মো. ইমাজ হোসেন ইমন

  • মো. নাসিরুল ইসলাম

চানখারপুল মামলার অভিযোগ গঠন নিয়ে ৩ জুলাই দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চার আসামি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়, এতে শহীদ হন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।

ট্রাইব্যুনাল বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে চিফ প্রসিকিউটর আশ্বাস দিয়েছেন।