০৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি চোরাচালানে বিদেশি ট্যাঙ্কার জব্দ, ১৭ নাবিক গ্রেপ্তার করল ইরান

উপসাগরের আঞ্চলিক জলসীমায় জ্বালানি চোরাচালানের অভিযোগে একটি বিদেশি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে ইরানের সামরিক বাহিনী। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আটক ট্যাঙ্কারটির নাম ‘ফিনিক্স’। এটি তৃতীয় একটি দেশের পতাকা বহন করে ইরানের আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। অভিযান চালিয়ে ট্যাঙ্কারটির ১৭ নাবিককে গ্রেপ্তার করেছে সীমান্তরক্ষী পুলিশ।

ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ইসনা জানিয়েছে, হরমুজগান প্রদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করে। ট্যাঙ্কারটিতে ২০ লাখ লিটারেরও বেশি চোরাই জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়া নাবিকদের জাতীয়তা সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ইরানে জ্বালানিতে সরকারি ভর্তুকি থাকার কারণে এখানে জ্বালানির দাম বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন। এর ফলে দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি চোরাচালানের প্রবণতা রয়েছে। প্রায়ই অবৈধভাবে জ্বালানি বহনকারী জাহাজ আটক করার ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের অর্থনীতি ও জ্বালানি খাত সুরক্ষায় এ ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে গত মাসেও ওমান সাগরে জ্বালানি চোরাচালানের অভিযোগে বিদেশি একটি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছিল ইরানি বাহিনী। তখনও প্রায় ২০ লাখ লিটার জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছিল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ধারাবাহিক এই অভিযানে ইরান আবারও প্রমাণ করল, তারা তাদের আঞ্চলিক জলসীমায় অবৈধ কার্যক্রম কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জ্বালানি চোরাচালানে বিদেশি ট্যাঙ্কার জব্দ, ১৭ নাবিক গ্রেপ্তার করল ইরান

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:২৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

উপসাগরের আঞ্চলিক জলসীমায় জ্বালানি চোরাচালানের অভিযোগে একটি বিদেশি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে ইরানের সামরিক বাহিনী। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আটক ট্যাঙ্কারটির নাম ‘ফিনিক্স’। এটি তৃতীয় একটি দেশের পতাকা বহন করে ইরানের আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। অভিযান চালিয়ে ট্যাঙ্কারটির ১৭ নাবিককে গ্রেপ্তার করেছে সীমান্তরক্ষী পুলিশ।

ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ইসনা জানিয়েছে, হরমুজগান প্রদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করে। ট্যাঙ্কারটিতে ২০ লাখ লিটারেরও বেশি চোরাই জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল বলে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়া নাবিকদের জাতীয়তা সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ইরানে জ্বালানিতে সরকারি ভর্তুকি থাকার কারণে এখানে জ্বালানির দাম বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন। এর ফলে দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি চোরাচালানের প্রবণতা রয়েছে। প্রায়ই অবৈধভাবে জ্বালানি বহনকারী জাহাজ আটক করার ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের অর্থনীতি ও জ্বালানি খাত সুরক্ষায় এ ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে গত মাসেও ওমান সাগরে জ্বালানি চোরাচালানের অভিযোগে বিদেশি একটি ট্যাঙ্কার জব্দ করেছিল ইরানি বাহিনী। তখনও প্রায় ২০ লাখ লিটার জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছিল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ধারাবাহিক এই অভিযানে ইরান আবারও প্রমাণ করল, তারা তাদের আঞ্চলিক জলসীমায় অবৈধ কার্যক্রম কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না।