০৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনর তারিখ আবারো পেছাল

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আরও একবার পেছানো হয়েছে। এবার নিয়ে মোট ১২০ বার তারিখ পরিবর্তন হলো। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

সোমবার (১১ আগস্ট) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

এই হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ আটজন আসামি রয়েছেন— বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল এবং আবু সাঈদ। একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো আসামিই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলাটি প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানায় নিবন্ধিত হয় এবং তদন্তভার কয়েক দফা পরিবর্তিত হয়ে শেষ পর্যন্ত র‍্যাবের হাতে যায়। কিন্তু রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তদন্ত থেকে র‍্যাবকে সরিয়ে দিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। একই বছরের ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের ওই টাস্কফোর্স গঠন করে। ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ থাকলেও এখনও মামলার অগ্রগতি হয়নি।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনর তারিখ আবারো পেছাল

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আরও একবার পেছানো হয়েছে। এবার নিয়ে মোট ১২০ বার তারিখ পরিবর্তন হলো। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

সোমবার (১১ আগস্ট) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

এই হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ আটজন আসামি রয়েছেন— বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল এবং আবু সাঈদ। একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো আসামিই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলাটি প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানায় নিবন্ধিত হয় এবং তদন্তভার কয়েক দফা পরিবর্তিত হয়ে শেষ পর্যন্ত র‍্যাবের হাতে যায়। কিন্তু রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তদন্ত থেকে র‍্যাবকে সরিয়ে দিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। একই বছরের ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের ওই টাস্কফোর্স গঠন করে। ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ থাকলেও এখনও মামলার অগ্রগতি হয়নি।