ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স সালমান। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এ দুজনের মধ্যে ফোনে কথা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আশরাক আল-আসওয়াত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মানুষের ওপর যুদ্ধের প্রভাব, দ্বন্দ্ব নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্বশক্তি প্রয়োগ, ইসরায়েলের হামলা বন্ধ এবং বেসামরিক মানুষদের রক্ষার ব্যাপারে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৌদি ও ইতালির সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়েও কথা হয়েছে। এরই মধ্যে সৌদি আরবের একটি জাহাজ ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার সময় ইতালির জেনোয়া বন্দরের কর্মীরা এটি আটক করেছেন, যদিও সৌদি বিষয়টি অস্বীকার করেছে। গত ৮ আগস্ট বাহরি ইয়ানবু নামে সৌদির এ জাহাজটি জেনোয়া বন্দরে আসে। পরিকল্পনা ছিল জেনোয়া থেকে অস্ত্র বোঝাই করে আবুধাবিতে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু বন্দরকর্মীরা জানতে পারেন, জাহাজে আগে থেকেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে, যেগুলো দখলদার ইসরায়েলে পাঠানো হবে। এরপর ৪০ জন বন্দরকর্মী জাহাজে প্রবেশ করে অস্ত্রের খোঁজ পান। জেনোয়াতে আসার আগে জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড থেকে এসেছিল। জেনোয়ার অটোনোমাস কালেক্টিভ অব পোর্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড ইউনিয়নের জোসে নিভোই বলেন, “আমরা যুদ্ধের জন্য কাজ করি না।” তিনি জানান, অস্ত্র চোরাচালান ধরা পড়ার পর জেনোয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ স্থায়ী পর্যবেক্ষক দল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালেও জেনোয়া বন্দরের কর্মীরা একইভাবে অস্ত্রবাহী একটি জাহাজ আটকে দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যা চলমান। গাজায় যাতে বর্বরতা চালাতে ইসরায়েল নতুন অস্ত্র না পায়, সে জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বন্দর কর্মীরা তৎপর হয়েছেন। গত ৪ জুন ফ্রান্সের ফোস-মার্সেইয়ের বন্দর কর্মীরা ইসরায়েলের জন্য আনা অস্ত্র উপকরণ জাহাজে লোড করতে অস্বীকৃতি জানান এবং ওই জাহাজ অস্ত্র বোঝাই না করেই চলে যায়।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।