০৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেক কাজের সওয়াব দশগুণ, পাপের শাস্তি একগুণ

আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের প্রতি অসীম অনুগ্রহ ও দয়া প্রদর্শন করেন। যে ব্যক্তি একটি ভালো বা সৎকাজ করবে, তাকে দশগুণ প্রতিদান দেওয়া হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি একটি গুনাহ করবে, তাকে শুধু একটি গুনাহের সমান বদলা দেওয়া হবে। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন— তোমাদের প্রতিপালক অত্যন্ত দয়ালু। যে ব্যক্তি কোনো সৎকাজের শুধু ইচ্ছা করে, তার জন্য একটি নেকি লেখা হয়— ইচ্ছাকে কার্যে পরিণত করুক বা না করুক। এরপর যখন সে সৎকাজটি সম্পাদন করে, তখন তার আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হয়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোনো পাপ কাজের ইচ্ছা করে, অতঃপর তা কার্যে পরিণত না করে, তার আমলনামায়ও একটি নেকি লেখা হয়। অতঃপর যদি সে ইচ্ছাকে কার্যে পরিণত করে, তবে একটি গুনাহ লেখা হয়, কিংবা একেও মাফ করে দেওয়া হয়। এমন দয়া ও অনুকম্পা সত্ত্বেও আল্লাহর দরবারে ওই ব্যক্তিই ধ্বংস হবে, যে ধ্বংস হতেই দৃঢ়সংকল্প। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৯১; মুসলিম, হাদিস : ১৩১)

অন্য এক হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি একটি সৎকাজ করে, সে দশটি সৎকাজের সওয়াব পায়, বরং আরও বেশি পায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি একটি গুনাহ করে সে তার শাস্তি এক গুনাহর সমপরিমাণ পায় কিংবা তাও আল্লাহ মাফ করে দেন। যে ব্যক্তি পৃথিবী ভর্তি গুনাহ করার পর আল্লাহর কাছে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি তার সাথে ততটুকুই ক্ষমার ব্যবহার করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে অর্ধহাত অগ্রসর হয়, তিনি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হন এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, তিনি তার দিকে দুই বাহু প্রসারিত করে অগ্রসর হন। যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে লাফিয়ে আসে, তিনি তার দিকে দৌড়ে যান। (মুসনাদে আহমাদ : ৫/১৫৩)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন— “কেউ কোনো সৎকাজ করলে সে তার দশ গুণ প্রতিদান পাবে। আর কেউ কোনো অসৎ কাজ করলে তাকে শুধু তার সমপরিমাণ প্রতিফলই দেওয়া হবে এবং তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।” (সুরা আনআম, আয়াত : ১৬০)

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নেক কাজের সওয়াব দশগুণ, পাপের শাস্তি একগুণ

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:২১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের প্রতি অসীম অনুগ্রহ ও দয়া প্রদর্শন করেন। যে ব্যক্তি একটি ভালো বা সৎকাজ করবে, তাকে দশগুণ প্রতিদান দেওয়া হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি একটি গুনাহ করবে, তাকে শুধু একটি গুনাহের সমান বদলা দেওয়া হবে। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন— তোমাদের প্রতিপালক অত্যন্ত দয়ালু। যে ব্যক্তি কোনো সৎকাজের শুধু ইচ্ছা করে, তার জন্য একটি নেকি লেখা হয়— ইচ্ছাকে কার্যে পরিণত করুক বা না করুক। এরপর যখন সে সৎকাজটি সম্পাদন করে, তখন তার আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হয়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোনো পাপ কাজের ইচ্ছা করে, অতঃপর তা কার্যে পরিণত না করে, তার আমলনামায়ও একটি নেকি লেখা হয়। অতঃপর যদি সে ইচ্ছাকে কার্যে পরিণত করে, তবে একটি গুনাহ লেখা হয়, কিংবা একেও মাফ করে দেওয়া হয়। এমন দয়া ও অনুকম্পা সত্ত্বেও আল্লাহর দরবারে ওই ব্যক্তিই ধ্বংস হবে, যে ধ্বংস হতেই দৃঢ়সংকল্প। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৯১; মুসলিম, হাদিস : ১৩১)

অন্য এক হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি একটি সৎকাজ করে, সে দশটি সৎকাজের সওয়াব পায়, বরং আরও বেশি পায়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি একটি গুনাহ করে সে তার শাস্তি এক গুনাহর সমপরিমাণ পায় কিংবা তাও আল্লাহ মাফ করে দেন। যে ব্যক্তি পৃথিবী ভর্তি গুনাহ করার পর আল্লাহর কাছে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি তার সাথে ততটুকুই ক্ষমার ব্যবহার করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে অর্ধহাত অগ্রসর হয়, তিনি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হন এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, তিনি তার দিকে দুই বাহু প্রসারিত করে অগ্রসর হন। যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে লাফিয়ে আসে, তিনি তার দিকে দৌড়ে যান। (মুসনাদে আহমাদ : ৫/১৫৩)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন— “কেউ কোনো সৎকাজ করলে সে তার দশ গুণ প্রতিদান পাবে। আর কেউ কোনো অসৎ কাজ করলে তাকে শুধু তার সমপরিমাণ প্রতিফলই দেওয়া হবে এবং তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।” (সুরা আনআম, আয়াত : ১৬০)