১০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুক্রবারে বাজারে চাহিদা বাড়ায় ব্রয়লার ও মাছের দাম উর্ধ্বমুখী

রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৮০–১৮৫ টাকায়। বিক্রেতাদের দাবি, ফার্ম পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রেতারা কৌশলে দাম বাড়িয়ে দেন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। দাম বেশি হলেও অনেকেই বাধ্য হয়ে সপ্তাহের বাজার করছেন, আবার অনেকে উচ্চমূল্যের কারণে কিনতে দ্বিধায় পড়ছেন।

মধ্যবাড্ডা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ফারজানা আক্তার জানান, দুই সপ্তাহ আগে ব্রয়লার কিনেছেন ১৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা, আর এখন ১৮৫ টাকা চাইছে বিক্রেতারা। রামপুরা বাজারের ক্রেতা নাসির উদ্দিনের অভিযোগ, বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে দাম ওঠানামা করে, বিশেষ করে শুক্রবারে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও বাড়তি দাম রাখতে হচ্ছে। রামপুরার মুরগি বিক্রেতা হাসান শেখ জানান, আগে পাইকারিতে ১৫৫–১৬০ টাকায় ব্রয়লার পাওয়া গেলেও এখন তা ১৬৫–১৭০ টাকা। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াও দাম বৃদ্ধির একটি কারণ বলে জানান তারা।

মাছের বাজারেও একই চিত্র—দেশি মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০–১০০ টাকা পর্যন্ত। রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৪০ টাকা কেজিতে, পাবদা ৩৫০–৪০০, চিংড়ি ৬৫০–৭০০, টেংরা ৬০০–৭০০, শিং ৪০০–৪৫০, কৈ ২০০–২২০ এবং তেলাপিয়া ও পাঙাস ১৮০–২০০ টাকায়।

গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল থাকলেও (গরু ৭৫০–৮০০, খাসি ১,২৫০ টাকা কেজি) তা অনেকের নাগালের বাইরে। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, মানুষের আয় কমে যাওয়ায় গরুর মাংসের ক্রেতা কমে গেছে, অধিকাংশ মানুষ তুলনামূলক সস্তা মাছ-মুরগির দিকে ঝুঁকেছেন।

ভোক্তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রোটিনের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের কাছে বাজার মনিটরিং ও সরবরাহ ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

শুক্রবারে বাজারে চাহিদা বাড়ায় ব্রয়লার ও মাছের দাম উর্ধ্বমুখী

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৪৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৮০–১৮৫ টাকায়। বিক্রেতাদের দাবি, ফার্ম পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রেতারা কৌশলে দাম বাড়িয়ে দেন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। দাম বেশি হলেও অনেকেই বাধ্য হয়ে সপ্তাহের বাজার করছেন, আবার অনেকে উচ্চমূল্যের কারণে কিনতে দ্বিধায় পড়ছেন।

মধ্যবাড্ডা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ফারজানা আক্তার জানান, দুই সপ্তাহ আগে ব্রয়লার কিনেছেন ১৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা, আর এখন ১৮৫ টাকা চাইছে বিক্রেতারা। রামপুরা বাজারের ক্রেতা নাসির উদ্দিনের অভিযোগ, বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে দাম ওঠানামা করে, বিশেষ করে শুক্রবারে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও বাড়তি দাম রাখতে হচ্ছে। রামপুরার মুরগি বিক্রেতা হাসান শেখ জানান, আগে পাইকারিতে ১৫৫–১৬০ টাকায় ব্রয়লার পাওয়া গেলেও এখন তা ১৬৫–১৭০ টাকা। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াও দাম বৃদ্ধির একটি কারণ বলে জানান তারা।

মাছের বাজারেও একই চিত্র—দেশি মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০–১০০ টাকা পর্যন্ত। রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৪০ টাকা কেজিতে, পাবদা ৩৫০–৪০০, চিংড়ি ৬৫০–৭০০, টেংরা ৬০০–৭০০, শিং ৪০০–৪৫০, কৈ ২০০–২২০ এবং তেলাপিয়া ও পাঙাস ১৮০–২০০ টাকায়।

গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল থাকলেও (গরু ৭৫০–৮০০, খাসি ১,২৫০ টাকা কেজি) তা অনেকের নাগালের বাইরে। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, মানুষের আয় কমে যাওয়ায় গরুর মাংসের ক্রেতা কমে গেছে, অধিকাংশ মানুষ তুলনামূলক সস্তা মাছ-মুরগির দিকে ঝুঁকেছেন।

ভোক্তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রোটিনের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের কাছে বাজার মনিটরিং ও সরবরাহ ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।