রোববার (১৭ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা বলেন, লজিস্টিকস সেক্টরে কর্মরত জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। সঠিকভাবে পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা গেলে এই খাত থেকে বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক আয় বাড়ানো সম্ভব।
দক্ষতা উন্নয়ন, শিল্প সংযুক্তি ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এনএসডিএ ১৬টি শিল্প দক্ষতা পরিষদের (আইএসসি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে লজিস্টিকস সেক্টর আইএসসির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এনএসডিএ’র সদস্য (পরিকল্পনা ও দক্ষতামান) ও যুগ্মসচিব মিনা মাসুদ উজজামান এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) রেহানা পারভীন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লজিস্টিকস সেক্টর আইএসসির চেয়ারম্যান ও নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ এবং লজিস্টিকস সেক্টর আইএসসির সেক্রেটারি জেনারেল ও এএইচএস ভেঞ্চার লিমিটেডের চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মো. আবুল হোসাইন।
এনএসডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান রেহানা পারভীন বলেন, দক্ষতা-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও সনদায়নের মাধ্যমে লজিস্টিকস সেক্টরের কর্মীদের মর্যাদাপূর্ণ ও শোভন কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এজন্য লজিস্টিকস সেক্টর শিল্প দক্ষতা পরিষদকে আরও টেকসই করা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য।
লজিস্টিকস সেক্টর আইএসসির চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বর্তমানে এই সেক্টরে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ জনশক্তি অদক্ষ। তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিলে বৈদেশিক বাণিজ্যে অতিরিক্ত ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।
শিল্প প্রতিনিধিরা মতবিনিময়কালে উল্লেখ করেন, লজিস্টিকস খাতে ছোট ছোট বহু ধরনের দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হয়। তাই সুনির্দিষ্ট স্কিল চিহ্নিত করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল তৈরি করতে হবে। তারা আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে এ খাতে দক্ষ কর্মশক্তি অনেক কম। এজন্য সাপ্লাই চেইনের ভেতরে থাকা নানা উপ-দক্ষতা চিহ্নিত করে কাজ করতে হবে এবং ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন (ফোরআইআর) প্রযুক্তিকে বিবেচনায় রেখে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া জরুরি।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।