১১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার মামলায় তিন সাক্ষীর জবানবন্দি, পরবর্তী তারিখ ২০ আগস্ট

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আগামী ২০ আগস্ট (বুধবার) পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে।

এদিন তিনজন সাক্ষী—শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল এবং প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন—নিজেদের জবানবন্দি দেন। তারা সবাই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সরাসরি দায়ী করেন এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন সাক্ষীদের জেরা করেন। অন্যদিকে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও সাইমুম রেজা তালুকদার।

মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১২ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ আগস্ট চারজন, ৬ আগস্ট দুইজন, ৪ আগস্ট দুইজন এবং ৩ আগস্ট প্রথম দিনে একজন সাক্ষী নিজেদের অভিজ্ঞতা আদালতে তুলে ধরেন। এদের অধিকাংশই আন্দোলনে নিহত বা আহত ব্যক্তিদের পরিবার কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী। তারা সবাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

এদিন সকালে আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। উল্লেখ্য, মামলায় নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন তিন আসামির অন্যতম চৌধুরী মামুন।

গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে। প্রায় আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে রয়েছে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদদের তালিকা। মোট ৮১ জন সাক্ষীকে এ মামলায় হাজির করা হবে।

ট্যাগ

শেখ হাসিনার মামলায় তিন সাক্ষীর জবানবন্দি, পরবর্তী তারিখ ২০ আগস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আগামী ২০ আগস্ট (বুধবার) পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে।

এদিন তিনজন সাক্ষী—শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল এবং প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন—নিজেদের জবানবন্দি দেন। তারা সবাই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সরাসরি দায়ী করেন এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন সাক্ষীদের জেরা করেন। অন্যদিকে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম। তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও সাইমুম রেজা তালুকদার।

মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১২ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ আগস্ট চারজন, ৬ আগস্ট দুইজন, ৪ আগস্ট দুইজন এবং ৩ আগস্ট প্রথম দিনে একজন সাক্ষী নিজেদের অভিজ্ঞতা আদালতে তুলে ধরেন। এদের অধিকাংশই আন্দোলনে নিহত বা আহত ব্যক্তিদের পরিবার কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী। তারা সবাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

এদিন সকালে আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। উল্লেখ্য, মামলায় নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন তিন আসামির অন্যতম চৌধুরী মামুন।

গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে। প্রায় আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে রয়েছে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদদের তালিকা। মোট ৮১ জন সাক্ষীকে এ মামলায় হাজির করা হবে।