ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ দাবি করেছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইরানের নিজস্ব অস্ত্র কারখানা রয়েছে। তবে কোন কোন দেশে এসব কারখানা তৈরি হয়েছে তা তিনি প্রকাশ করেননি।
শনিবার বার্তাসংস্থা ইয়ং জার্নালিস্ট ক্লাব-কে দেওয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে নাসিরজাদেহ বলেন, ইরান সবসময় মিসাইল উন্নয়নকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্প্রতি সংঘটিত যুদ্ধে তাদের কৌশলে পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি জানান, নিকট ভবিষ্যতে প্রকাশ করা হবে এসব কারখানার অবস্থান।
গত জুনে ইসরায়েল বিনা উস্কানিতে ইরানে হামলা চালায়। এরপর ইরান পাল্টা হামলা শুরু করে, যা টানা ১৩ দিন স্থায়ী হয়। এ যুদ্ধে ইরানের একাধিক পারমাণবিক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রও হামলা চালায়। যদিও যুদ্ধ শেষ হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখনও বিদ্যমান।
ইরান আঞ্চলিকভাবে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস, ইরাকের কাতিব হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে ইসরায়েলকে চাপে রাখে। ইসরায়েল দাবি করে, এসব দেশে ইরানের অস্ত্র কারখানা রয়েছে। এছাড়া, সিরিয়াতেও সাবেক স্বৈরশাসক বাসার আল-আসাদ ক্ষমতায় থাকার সময় ইরানের অস্ত্র কারখানা ছিল, যদিও পরবর্তীতে ইসরায়েল এগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ইরান বিভিন্ন দেশে নিজস্ব অস্ত্র কারখানা পরিচালনা করে, তা আঞ্চলিক সংঘাতকে আরও জটিল ও অপ্রত্যাশিত করে তুলতে পারে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।