
বাংলাদেশকে শত্রু মনে করে না ভারত—এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘‘ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশের জন্মের সময় ভারতই তাকে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে সহায়তা করেছিল।’’
রোববার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ত্রিপুরার কোটি কোটি টাকার অবকাঠামো অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান বিল্ডিং কংগ্রেসের ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘ত্রিপুরা একটি স্থলবেষ্টিত রাজ্য, যার প্রতিবেশী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। আগের ভালো দিনগুলো ফিরে আসুক—এটাই আমাদের প্রার্থনা। শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য দুই দেশের মানুষের মধ্যে অবশ্যই সংলাপ হওয়া জরুরি।’’
মন্ত্রী জানান, ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতু এবং শ্রীমন্তপুরের স্থলবন্দরে কোটি কোটি রুপির অবকাঠামো কার্যত অচল হয়ে আছে। একইভাবে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আগরতলা-আখাউড়া রেলপথও এখনও চালু করা যায়নি। এর ফলে ত্রিপুরার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
প্রসঙ্গত, মৈত্রী সেতু আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশকে সংযুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হতো। কিন্তু কার্যত এই সেতুটি এখন অচল হয়ে রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহ ত্রিপুরা সফর করেন। সফরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং মৈত্রী সেতু ও আগরতলা-আখাউড়া রেললাইন পরিদর্শন করেন। দুই প্রকল্প শিগগিরই চালু হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।