সেলাঙ্গরের বাটু কেভস থেকে শুরু করে কুয়ালালামপুরের আকাশছোঁয়া অট্টালিকা— মালয়েশিয়া ভ্রমণকারীদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি এখন বিদেশিদের জন্য দিচ্ছে স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি/পিআর) সুযোগ। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পিআরধারীরা দেশটিতে বসবাস, কাজ ও পড়াশোনার অনুমতি পাবেন। যদিও নাগরিকত্বের মতো সব সুবিধা মিলবে না, যেমন ভোটাধিকার, তবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং ব্যবসায়িক সুযোগ স্থানীয়দের মতো ভোগ করা যাবে।
পিআর পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন দক্ষ পেশাজীবীরা, যারা বৈধ এমপ্লয়মেন্ট পাসে অন্তত ৫ বছর মালয়েশিয়ায় কাজ করেছেন কিংবা কোনো সরকারি সংস্থার সুপারিশ পেয়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যারা অন্তত ৫০ লাখ রিঙ্গিত (প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার) ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখবেন, তারাও আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা বা শিল্পকলায় বিশেষ দক্ষ বিদেশিরা কিংবা মালয়েশিয়ার নাগরিককে বিয়ে করে টানা ৫ বছর বসবাস করা বিদেশিরাও যোগ্য।
মালয়েশিয়ার ‘মাই সেকেন্ড হোম’ (এমএম২এইচ) কর্মসূচিও টানা ১০ বছর বসবাসের সুযোগ দেয়, যা ভবিষ্যতে পিআর পাওয়ার পথ খুলে দেয়। আবেদন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। এজন্য প্রয়োজন পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্র, বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসার কপি, চাকরি বা বিনিয়োগের প্রমাণ, বিবাহ সনদ, আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুপারিশপত্র।
প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথমে যোগ্যতা যাচাই করতে হবে, প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে হবে এবং আবেদন জমা দিতে হবে ইমিগ্রেশন দপ্তরে। এ সময় প্রসেসিং ফি দিতে হবে ৫০০ রিঙ্গিত (প্রায় ১৪,৪০০ টাকা)। এরপর আবেদন পর্যালোচনা করবে ইমিগ্রেশন কমিটি, যার সিদ্ধান্ত পেতে সময় লাগতে পারে ২ থেকে ৫ বছর। অনুমোদন মিললে দিতে হবে ১,৫০০ রিঙ্গিত (প্রায় ৪৩ হাজার টাকা) প্রবেশ ফি, নির্ভরশীল সদস্যদের জন্য অতিরিক্ত ফি প্রযোজ্য। সবশেষে আবেদনকারীকে দেওয়া হবে নীল পরিচয়পত্র (MyPR কার্ড), যা মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে তার পরিচয় বহন করবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।