১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা-অপহরণে অস্থিরতা, মাদক পাচারও বেড়েছে

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (এফডিএমএন) ক্যাম্পগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে হত্যা, অপহরণ, মাদক পাচার, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপরাধ দমনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা’র প্রভাব ঠেকাতে কঠোর অভিযান পরিচালিত হবে। ক্যাম্পে নিয়মিত ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যৌথ টহল বাড়ানো হবে।

সভা সূত্র জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। সাম্প্রতিক সময়ে নারী ও শিশু যৌন হয়রানি, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, অপহরণ এবং চাঁদাবাজি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ, আনসার, কোস্টগার্ড ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ক্যাম্পে গুজব ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কঠোর নজরদারি জোরদার হয়েছে। ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের অন্যত্র যাতায়াত বন্ধে বিশেষ টহল চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানে ইতিমধ্যে প্রায় ১৯ লাখ ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে এবং দেড় শতাধিক মামলা হয়েছে। ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চৌকি জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মানবিক দিকটিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা বজায় রাখতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

ট্যাগ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা-অপহরণে অস্থিরতা, মাদক পাচারও বেড়েছে

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (এফডিএমএন) ক্যাম্পগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে হত্যা, অপহরণ, মাদক পাচার, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপরাধ দমনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা’র প্রভাব ঠেকাতে কঠোর অভিযান পরিচালিত হবে। ক্যাম্পে নিয়মিত ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যৌথ টহল বাড়ানো হবে।

সভা সূত্র জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। সাম্প্রতিক সময়ে নারী ও শিশু যৌন হয়রানি, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, অপহরণ এবং চাঁদাবাজি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ, আনসার, কোস্টগার্ড ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ক্যাম্পে গুজব ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কঠোর নজরদারি জোরদার হয়েছে। ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের অন্যত্র যাতায়াত বন্ধে বিশেষ টহল চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানে ইতিমধ্যে প্রায় ১৯ লাখ ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে এবং দেড় শতাধিক মামলা হয়েছে। ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চৌকি জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মানবিক দিকটিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তা বজায় রাখতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”