০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত অন্তত ৬৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের একের পর এক বিমান ও স্থল হামলায় রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু মানবিক সহায়তা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা অন্তত ২২। একই সময়ে অনাহারে আরও আটজন, এর মধ্যে দুই শিশু মারা গেছেন।

রোববার (২৪ আগস্ট) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজাজুড়ে বোমা হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনারা এখন গাজা সিটির ভেতরে আরও গভীরে প্রবেশ করছে। শহরটি দখল ও প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে জোরপূর্বক উৎখাতের অংশ হিসেবে তারা অভিযান চালাচ্ছে। আল জাজিরা অ্যারাবিকের সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, ইসরায়েলি ট্যাংক সাবরা এলাকায় প্রবেশ করছে।

সাবরার পাশের জায়তুন পাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে টানা ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু। আল-আহলি হাসপাতালের এক সূত্র জানায়, সর্বশেষ বিমান হামলায় ওই এলাকায় এক শিশু নিহত হয়েছে।

এদিকে শনিবার ভোরে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তর-পশ্চিমের আসদা এলাকায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর তাবুতে গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ছয়জন শিশু।

দিনজুড়ে সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান অন্তত ২২ জন। খান ইউনিসের দক্ষিণ-পূর্বে একটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে একজন নিহত হন। এছাড়া নেটজারিম করিডরের কাছে আরেকজন বেসামরিক নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন আরও আটজন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮১-এ, এর মধ্যে ১১৪ জন শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ সতর্ক করে বলেছেন, “ক্ষুধা নিঃশব্দে বেসামরিক দেহ ক্ষতবিক্ষত করছে, শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।”

জাতিসংঘ ইতিমধ্যে গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে এই প্রথম এমন ঘোষণা এলো। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ ভয়াবহ খাদ্যসংকটে ভুগছেন এবং প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত অন্তত ৬৩

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৫০:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের একের পর এক বিমান ও স্থল হামলায় রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু মানবিক সহায়তা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা অন্তত ২২। একই সময়ে অনাহারে আরও আটজন, এর মধ্যে দুই শিশু মারা গেছেন।

রোববার (২৪ আগস্ট) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজাজুড়ে বোমা হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি সেনারা এখন গাজা সিটির ভেতরে আরও গভীরে প্রবেশ করছে। শহরটি দখল ও প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে জোরপূর্বক উৎখাতের অংশ হিসেবে তারা অভিযান চালাচ্ছে। আল জাজিরা অ্যারাবিকের সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, ইসরায়েলি ট্যাংক সাবরা এলাকায় প্রবেশ করছে।

সাবরার পাশের জায়তুন পাড়া গত এক সপ্তাহ ধরে টানা ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু। আল-আহলি হাসপাতালের এক সূত্র জানায়, সর্বশেষ বিমান হামলায় ওই এলাকায় এক শিশু নিহত হয়েছে।

এদিকে শনিবার ভোরে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তর-পশ্চিমের আসদা এলাকায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর তাবুতে গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ছয়জন শিশু।

দিনজুড়ে সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান অন্তত ২২ জন। খান ইউনিসের দক্ষিণ-পূর্বে একটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে একজন নিহত হন। এছাড়া নেটজারিম করিডরের কাছে আরেকজন বেসামরিক নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন আরও আটজন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮১-এ, এর মধ্যে ১১৪ জন শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ সতর্ক করে বলেছেন, “ক্ষুধা নিঃশব্দে বেসামরিক দেহ ক্ষতবিক্ষত করছে, শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।”

জাতিসংঘ ইতিমধ্যে গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে এই প্রথম এমন ঘোষণা এলো। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ ভয়াবহ খাদ্যসংকটে ভুগছেন এবং প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।