০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউনূস: “রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়, বৈশ্বিক দায়”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অংশীজন সংলাপে যোগ দিতে সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন। সকাল ১০টার দিকে পৌঁছে তিনি উখিয়ার ইনানীর হোটেল ‘বে ওয়াচে’ চলমান আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে।

‘টেক অ্যাওয়ে টু দ্যা হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্যা রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক এ তিনদিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে রবিবার (২৪ আগস্ট)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দপ্তর যৌথভাবে এ আয়োজন করছে। সম্মেলন থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় বৈশ্বিক সম্মেলনে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট ইতোমধ্যে মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, বৈশ্বিক দায়।” তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকেই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ হিসেবে চিহ্নিত করেন।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে, আর প্রতি বছর জন্ম নিচ্ছে প্রায় ৩২ হাজার শিশু। এ প্রেক্ষাপটে ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতি, পরিবেশ ও সামাজিক কাঠামোর বড় ধরনের ত্যাগ স্বীকার করছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিরব না থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ৭ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে— রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নতুন অনুপ্রবেশ ঠেকানো, মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করা।

সম্মেলনে ৪০টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয়দিনের মূল আয়োজন শুরু হয় রোহিঙ্গা নির্যাতনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে। পরে একটি ডকুমেন্টারিতে তুলে ধরা হয় শরণার্থীদের ভোগান্তি ও মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ চিত্র।

অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে ইউনূস বলেন, “দেশ একটি নির্বাচনের মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। রাজনৈতিক উত্তরণের দিকেও আমরা এগোচ্ছি।”

দিনশেষে প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে ইনানী বিচে ফটোসেশনে অংশ নেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে টেকসই সমাধান হিসেবে আবারও স্পষ্ট করলেন ড. ইউনূস। সংকটকে বৈশ্বিক এজেন্ডা হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানালেন তিনি।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইউনূস: “রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়, বৈশ্বিক দায়”

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:৫০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অংশীজন সংলাপে যোগ দিতে সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন। সকাল ১০টার দিকে পৌঁছে তিনি উখিয়ার ইনানীর হোটেল ‘বে ওয়াচে’ চলমান আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে।

‘টেক অ্যাওয়ে টু দ্যা হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্যা রোহিঙ্গা সিচুয়েশন’ শীর্ষক এ তিনদিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে রবিবার (২৪ আগস্ট)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের দপ্তর যৌথভাবে এ আয়োজন করছে। সম্মেলন থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় বৈশ্বিক সম্মেলনে উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, “রোহিঙ্গা সংকট ইতোমধ্যে মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, বৈশ্বিক দায়।” তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকেই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ হিসেবে চিহ্নিত করেন।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে, আর প্রতি বছর জন্ম নিচ্ছে প্রায় ৩২ হাজার শিশু। এ প্রেক্ষাপটে ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতি, পরিবেশ ও সামাজিক কাঠামোর বড় ধরনের ত্যাগ স্বীকার করছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিরব না থেকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ৭ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে— রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নতুন অনুপ্রবেশ ঠেকানো, মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করা।

সম্মেলনে ৪০টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয়দিনের মূল আয়োজন শুরু হয় রোহিঙ্গা নির্যাতনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে। পরে একটি ডকুমেন্টারিতে তুলে ধরা হয় শরণার্থীদের ভোগান্তি ও মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ চিত্র।

অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে ইউনূস বলেন, “দেশ একটি নির্বাচনের মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। রাজনৈতিক উত্তরণের দিকেও আমরা এগোচ্ছি।”

দিনশেষে প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে ইনানী বিচে ফটোসেশনে অংশ নেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে টেকসই সমাধান হিসেবে আবারও স্পষ্ট করলেন ড. ইউনূস। সংকটকে বৈশ্বিক এজেন্ডা হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানালেন তিনি।