রাজধানীর রামপুরায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হাজিরার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও ফারুক আহাম্মদসহ অন্যান্যরা।
হাজিরার নির্দেশপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে হাবিবুর রহমান ছাড়াও আছেন:
খিলগাঁও জোনের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম
রামপুরা থানার সাবেক ওসি মশিউর রহমান
রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া
এর আগে, ১০ আগস্ট চার পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এছাড়া ৭ আগস্ট ফর্মাল চার্জ দাখিল করা হয় এবং ৩১ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার পটভূমি:
গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রামপুরায় হোটেল কাজ শেষে ঢাকার ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির উপস্থিতি দেখে তিনি প্রাণ বাঁচাতে একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে ওঠেন। পুলিশ পিছু নিলে তিনি ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকেন, কিন্তু পুলিশ তার দিকে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি তিন তলায় পড়ে যান এবং আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এরপর বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেয়া হয় এবং রাতেই ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফেরেন।
একই দিন, নাদিম ও মায়া ইসলাম পুলিশি গুলিতে নিহত হন। মায়া ইসলামের ছয় বছরের নাতি বাসিত খান মুসা গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন, এবং এখনও কথা বলতে পারছেন না।
গত ২৬ জানুয়ারি রাতে আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।