১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল্লাহর সৃষ্টি ও আদম সন্তানের প্রতি স্বীকারোক্তি

পৃথিবী ও সমস্ত সৃষ্টিজগতের একমাত্র রব আল্লাহ তায়ালা। তিনি সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের কাছে নিজের প্রতিপালক হওয়ার স্বীকৃতি ও প্রতিশ্রুতি নেন। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, আল্লাহ আদম সন্তানের পিঠ থেকে তাদের বংশধর বের করে তাদেরকে স্বীকারোক্তি দিতে বলেন যে, তিনি তাদের একমাত্র রব। এই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল যাতে কিয়ামতের দিন কেউ বলতে না পারে, আমরা এই বিষয়ে অজ্ঞ ছিলাম। (সুরা আরাফ, আয়াত ১৭২)

হাদিসে বর্ণিত, আরাফা দিবসে আল্লাহ আদমের পিঠে হাত বুলিয়ে তাঁর বংশধরদের বের করেন। প্রথমবারের জন্য যারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবে, তাদের পরিচয় দেন। দ্বিতীয়বারের জন্য যাদের জাহান্নামের পথ নির্ধারিত, তাদেরও আলাদা করে নির্ধারণ করেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ বোঝে, তিনি কেবল নিজের সামর্থ্য ও কাজের মাধ্যমে নিজের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে পারবে।

ইমাম আহমাদ বিন হান্বাল ও ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করা মানুষকে জান্নাতবাসীর কাজ করতে প্রণোদিত করেন। তাদের মৃত্যু পর্যন্ত তারা জান্নাতবাসীদের মতো কাজ চালিয়ে যায়। অন্যদিকে, যারা জাহান্নামের জন্য নির্ধারিত, তাদের মৃত্যু পর্যন্ত জাহান্নামের কাজ অব্যাহত থাকে। এটি মানুষের জীবনে উদ্দেশ্য এবং কর্মের গুরুত্বকে প্রকাশ করে।

অর্থাৎ, মানুষ যখন জানে না সে কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত, তখন তার পক্ষে উচিত সব শক্তি, ইচ্ছা ও কর্ম শুধুমাত্র ভালো কাজে ব্যয় করা। এই শিক্ষা আমাদেরকে সতর্ক করে যে, সদকর্ম, ধৈর্য, ন্যায়পরায়ণতা ও আল্লাহভীতি মেনে চলা মানবজীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। জান্নাত-জাহান্নামের এই প্রাথমিক ভাগ্য নির্ধারণ মানব জীবনের উদ্দেশ্য ও কর্মের প্রভাবকে আরও স্পষ্ট করে।

এবারের শিক্ষা মানবজীবনের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দায়িত্বকে ফুটিয়ে তোলে। প্রতিটি মুসলিমকে সতর্ক থাকতে হবে, নিজের জীবন আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে। আল্লাহর স্বীকারোক্তি ও জ্ঞানের আলোকে জীবন পরিচালনা করলে মানুষ জান্নাতবাসীর পথে এগোতে সক্ষম হবে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আল্লাহর সৃষ্টি ও আদম সন্তানের প্রতি স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:১১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

পৃথিবী ও সমস্ত সৃষ্টিজগতের একমাত্র রব আল্লাহ তায়ালা। তিনি সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের কাছে নিজের প্রতিপালক হওয়ার স্বীকৃতি ও প্রতিশ্রুতি নেন। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, আল্লাহ আদম সন্তানের পিঠ থেকে তাদের বংশধর বের করে তাদেরকে স্বীকারোক্তি দিতে বলেন যে, তিনি তাদের একমাত্র রব। এই স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল যাতে কিয়ামতের দিন কেউ বলতে না পারে, আমরা এই বিষয়ে অজ্ঞ ছিলাম। (সুরা আরাফ, আয়াত ১৭২)

হাদিসে বর্ণিত, আরাফা দিবসে আল্লাহ আদমের পিঠে হাত বুলিয়ে তাঁর বংশধরদের বের করেন। প্রথমবারের জন্য যারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবে, তাদের পরিচয় দেন। দ্বিতীয়বারের জন্য যাদের জাহান্নামের পথ নির্ধারিত, তাদেরও আলাদা করে নির্ধারণ করেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ বোঝে, তিনি কেবল নিজের সামর্থ্য ও কাজের মাধ্যমে নিজের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে পারবে।

ইমাম আহমাদ বিন হান্বাল ও ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করা মানুষকে জান্নাতবাসীর কাজ করতে প্রণোদিত করেন। তাদের মৃত্যু পর্যন্ত তারা জান্নাতবাসীদের মতো কাজ চালিয়ে যায়। অন্যদিকে, যারা জাহান্নামের জন্য নির্ধারিত, তাদের মৃত্যু পর্যন্ত জাহান্নামের কাজ অব্যাহত থাকে। এটি মানুষের জীবনে উদ্দেশ্য এবং কর্মের গুরুত্বকে প্রকাশ করে।

অর্থাৎ, মানুষ যখন জানে না সে কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত, তখন তার পক্ষে উচিত সব শক্তি, ইচ্ছা ও কর্ম শুধুমাত্র ভালো কাজে ব্যয় করা। এই শিক্ষা আমাদেরকে সতর্ক করে যে, সদকর্ম, ধৈর্য, ন্যায়পরায়ণতা ও আল্লাহভীতি মেনে চলা মানবজীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। জান্নাত-জাহান্নামের এই প্রাথমিক ভাগ্য নির্ধারণ মানব জীবনের উদ্দেশ্য ও কর্মের প্রভাবকে আরও স্পষ্ট করে।

এবারের শিক্ষা মানবজীবনের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দায়িত্বকে ফুটিয়ে তোলে। প্রতিটি মুসলিমকে সতর্ক থাকতে হবে, নিজের জীবন আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে। আল্লাহর স্বীকারোক্তি ও জ্ঞানের আলোকে জীবন পরিচালনা করলে মানুষ জান্নাতবাসীর পথে এগোতে সক্ষম হবে।