সোমবার মধ্যরাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ইরফান জানান, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ইউনিট–২ এর বিপরীতে একটি কাপড়ের শোরুমে ট্রায়াল রুমে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে গোপনে নারীদের ভিডিও ধারণ করা হতো। তার এক পরিচিত তরুণীও এ ঘটনার শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগী তরুণী ট্রায়াল রুমে প্রবেশের পর সিসি ক্যামেরা দেখে সঙ্গে সঙ্গে দোকানদারকে প্রশ্ন করেন। এসময় দোকান মালিক পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করে এবং ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এমনকি তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়। তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দোকানের কয়েকজন কর্মচারী পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের মোবাইল থেকে অসংখ্য আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার করে। সাজ্জাদের দাবি, দোকানকর্মীদের পালাতে বিল্ডিংয়ের কয়েকজন লোকও সহায়তা করেছে।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, “সাবধান থাকবেন। চারপাশে সব ভদ্র চেহারার মানুষই ভদ্র নয়, অনেকেই নরপিশাচ।”
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তবে ওই শোরুমের কোনো নাম নেই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। সাজ্জাদের ভাষায়, “অনেকে শোরুমের নাম জানতে চাইছে। কিন্তু শোরুমটার কোনো নামই নেই, সেজন্য ভিডিও দিয়েছি। দেখতেই পাচ্ছেন, শোরুমে কোনো সাইনবোর্ড নাই।”
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।