০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসু ভোটে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটের দিন থাকবে তিন স্তরের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একই সঙ্গে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সভায় চিফ রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসুর প্রচার-প্রচারণা শুরুর ঘোষণা দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী জানান, ভোটের দিনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রথম স্তরে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিএনসিসি সদস্যরা। দ্বিতীয় স্তরে মোতায়েন থাকবে পুলিশ সদস্যরা। আর তৃতীয় স্তরে নির্দিষ্ট প্রবেশপথে সেনাবাহিনী থাকবেন, যারা সারাদিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন এবং ভোট শেষে ব্যালটের নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করবেন।

প্রফেসর রব্বানী বলেন, ভোটের সাত দিন আগে থেকে কোনো বহিরাগত ক্যাম্পাসে থাকতে পারবেন না। এই বিষয়টি হাউস টিউটর ও প্রভোস্টদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ পরিদর্শনও করা হবে। ভোটের দিন পুরো ক্যাম্পাস সিলগালা থাকবে এবং শুধুমাত্র বৈধ ভোটাররা প্রবেশ করতে পারবেন। সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনও বন্ধ থাকবে।

তাঁর আরও বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী অনাবাসিক। ভোটের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ট্রিপ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীবাহী যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে। তারা নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবেন।

আরেক রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. কাজী মারুফুল ইসলাম প্রার্থী ও ভোটারদের সতর্ক করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৭১ সালের শহীদদের অবমাননা করে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ডাকসু ভোটে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৩:১৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটের দিন থাকবে তিন স্তরের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একই সঙ্গে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সভায় চিফ রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসুর প্রচার-প্রচারণা শুরুর ঘোষণা দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী জানান, ভোটের দিনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রথম স্তরে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিএনসিসি সদস্যরা। দ্বিতীয় স্তরে মোতায়েন থাকবে পুলিশ সদস্যরা। আর তৃতীয় স্তরে নির্দিষ্ট প্রবেশপথে সেনাবাহিনী থাকবেন, যারা সারাদিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন এবং ভোট শেষে ব্যালটের নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করবেন।

প্রফেসর রব্বানী বলেন, ভোটের সাত দিন আগে থেকে কোনো বহিরাগত ক্যাম্পাসে থাকতে পারবেন না। এই বিষয়টি হাউস টিউটর ও প্রভোস্টদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ পরিদর্শনও করা হবে। ভোটের দিন পুরো ক্যাম্পাস সিলগালা থাকবে এবং শুধুমাত্র বৈধ ভোটাররা প্রবেশ করতে পারবেন। সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনও বন্ধ থাকবে।

তাঁর আরও বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী অনাবাসিক। ভোটের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ট্রিপ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীবাহী যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে। তারা নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবেন।

আরেক রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর ড. কাজী মারুফুল ইসলাম প্রার্থী ও ভোটারদের সতর্ক করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৭১ সালের শহীদদের অবমাননা করে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না।