১০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের বাড়ল রিজার্ভ, ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৭ আগস্ট) দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ২৬ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২৪ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম–৬ অনুযায়ী ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে রয়েছে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের হিসাব, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না। এ হিসাবে এসডিআর খাতে থাকা অর্থ, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে জমা অর্থ এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সেই হিসাবে বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয়ের হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিকভাবে একটি দেশের জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভকে নিরাপদ ধরা হয়।

বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী মহলের অর্থপাচার, কোভিড-১৯–এর পর আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি ও পণ্যের দরবৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ চাপে রিজার্ভে বড় ধাক্কা লাগে। বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসাবে ঘাটতি বাড়তে থাকে, ডলারের বিপরীতে টাকার দর অবমূল্যায়িত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিয়মিত ডলার বিক্রি করতে হয়। এ প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ তলানিতে নেমে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাই মাসে আইএমএফ-এর কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার আবেদন করে।

ট্যাগ

ফের বাড়ল রিজার্ভ, ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৫৮:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৭ আগস্ট) দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ২৬ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২৪ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম–৬ অনুযায়ী ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে রয়েছে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের হিসাব, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না। এ হিসাবে এসডিআর খাতে থাকা অর্থ, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে জমা অর্থ এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সেই হিসাবে বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয়ের হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিকভাবে একটি দেশের জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভকে নিরাপদ ধরা হয়।

বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী মহলের অর্থপাচার, কোভিড-১৯–এর পর আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি ও পণ্যের দরবৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ চাপে রিজার্ভে বড় ধাক্কা লাগে। বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসাবে ঘাটতি বাড়তে থাকে, ডলারের বিপরীতে টাকার দর অবমূল্যায়িত হয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিয়মিত ডলার বিক্রি করতে হয়। এ প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ তলানিতে নেমে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাই মাসে আইএমএফ-এর কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তার আবেদন করে।