০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের হামলায় নিহত ২৩৩ ইমাম

গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলা, বোমাবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞে প্রতিদিন বাড়ছে প্রাণহানি এবং অবকাঠামোগত ধ্বংস। লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে মসজিদ, গির্জা, মসজিদের ইমাম ও ইসলাম ধর্মের প্রচারকদের। হামলায় ধ্বংস হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনাও। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ২৩৩ জন ইমাম ও ইসলাম ধর্ম প্রচারককে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে ৮২৮টি মসজিদ, আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৬৭টি। পাশাপাশি তিনটি গির্জাও বোমা হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে, নিহত হয়েছেন ২১ জন ফিলিস্তিনি খ্রিস্টান। গাজার মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল থাওয়াবতেহ আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, মসজিদ, গির্জা, ইমাম ও ধর্মীয় নেতাদের ওপর এই হামলা পরিকল্পিতভাবে চালানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য ধর্মীয় কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে প্রতিরোধ আন্দোলনের ভিত্তি নষ্ট করা। তিনি বলেন, ইমাম ও আলেমরা জাতীয় পরিচয়, ঈমান এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তাদের হত্যা করে মনোবল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। এছাড়াও প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সমষ্টিগত স্মৃতির ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, যা তাদের অস্তিত্বের জন্য বড় হুমকি। রোম স্ট্যাটিউট অনুযায়ী, ধর্মীয় স্থাপনায় ইচ্ছাকৃত হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইসরায়েলের হামলায় নিহত ২৩৩ ইমাম

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলা, বোমাবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞে প্রতিদিন বাড়ছে প্রাণহানি এবং অবকাঠামোগত ধ্বংস। লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে মসজিদ, গির্জা, মসজিদের ইমাম ও ইসলাম ধর্মের প্রচারকদের। হামলায় ধ্বংস হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনাও। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ২৩৩ জন ইমাম ও ইসলাম ধর্ম প্রচারককে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে ৮২৮টি মসজিদ, আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৬৭টি। পাশাপাশি তিনটি গির্জাও বোমা হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে, নিহত হয়েছেন ২১ জন ফিলিস্তিনি খ্রিস্টান। গাজার মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল থাওয়াবতেহ আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, মসজিদ, গির্জা, ইমাম ও ধর্মীয় নেতাদের ওপর এই হামলা পরিকল্পিতভাবে চালানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য ধর্মীয় কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে প্রতিরোধ আন্দোলনের ভিত্তি নষ্ট করা। তিনি বলেন, ইমাম ও আলেমরা জাতীয় পরিচয়, ঈমান এবং সামাজিক সংহতির প্রতীক। তাদের হত্যা করে মনোবল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। এছাড়াও প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সমষ্টিগত স্মৃতির ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, যা তাদের অস্তিত্বের জন্য বড় হুমকি। রোম স্ট্যাটিউট অনুযায়ী, ধর্মীয় স্থাপনায় ইচ্ছাকৃত হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়।