০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওবায়দুল কাদেরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের প্রায় ৬৮৬ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা হলেন— সেতু বিভাগের সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমদ এবং সাবেক যুগ্ম সচিব আলীম উদ্দিন আহমেদ। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকল্পের নেগোসিয়েশন কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে এবং নিযুক্ত বিদেশি বিশেষজ্ঞের সুপারিশ ছাড়াই পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়ার এবং একটি ট্যাগ বোট যুক্ত করে সরকারের প্রায় ৫৯.৮০ মিলিয়ন ডলার বা ৫৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছেন। এ ছাড়া সরকারি ক্রয় আইন (পিপিএ ২০০৬) লঙ্ঘন করে ৫৫ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে পরামর্শক নিয়োগ করেও রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নেগোসিয়েশন কমিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৬৪৬ মিলিয়ন ডলারের সুপারিশ করেছিল, কিন্তু উল্লিখিত তিনটি অপ্রয়োজনীয় খাত অন্তর্ভুক্ত করে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়। এসব কাজ বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও অপ্রয়োজনীয় বলে মত দিয়েছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০বি/৪০৯/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ট্যাগ

ওবায়দুল কাদেরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:২০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের প্রায় ৬৮৬ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা হলেন— সেতু বিভাগের সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমদ এবং সাবেক যুগ্ম সচিব আলীম উদ্দিন আহমেদ। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকল্পের নেগোসিয়েশন কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে এবং নিযুক্ত বিদেশি বিশেষজ্ঞের সুপারিশ ছাড়াই পরিষেবা এলাকা, পর্যবেক্ষণ সফটওয়ার এবং একটি ট্যাগ বোট যুক্ত করে সরকারের প্রায় ৫৯.৮০ মিলিয়ন ডলার বা ৫৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি করেছেন। এ ছাড়া সরকারি ক্রয় আইন (পিপিএ ২০০৬) লঙ্ঘন করে ৫৫ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে পরামর্শক নিয়োগ করেও রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নেগোসিয়েশন কমিটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৬৪৬ মিলিয়ন ডলারের সুপারিশ করেছিল, কিন্তু উল্লিখিত তিনটি অপ্রয়োজনীয় খাত অন্তর্ভুক্ত করে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়। এসব কাজ বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও অপ্রয়োজনীয় বলে মত দিয়েছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০বি/৪০৯/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।