
আগামী সপ্তাহে চীনের বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্যারেডে অংশ নেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। কিমের এই সফরটি চীন সরকার নিশ্চিত করেছে এবং জানানো হয়েছে, এই সফরে কিম-পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যকার একটি বহুপাক্ষিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিম জং উনের এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক বৈঠক হতে যাচ্ছে, যা শি জিনপিংয়ের জন্য একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শি দীর্ঘদিন ধরেই চীনের নেতৃত্বে একটি নতুন বৈশ্বিক শাসন কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন এবং এই সম্মেলন তার জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা। বিবিসির বরাতে জানা গেছে, কিম-পুতিনের একসঙ্গে বেইজিং সফরের মাধ্যমে শি জিনপিং তার কৌশলগত প্রভাব বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যেতে চাচ্ছে, সেখানে এই বৈঠক একটি ভিন্ন বার্তা দিতে পারে। তবে চীনের বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অংশ নিচ্ছেন না, যদিও তিনি গত সপ্তাহে কিমের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি সেনাদের আত্মসমর্পণের ঘটনাকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে এবং এবারের আয়োজন দেশটির বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন। প্যারেডে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া ছাড়াও আরও ২৬ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নেবেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৫৯ সালের পর এবারই প্রথম কোনো উত্তর কোরীয় প্রেসিডেন্ট চীনের বিজয় দিবসের প্যারেডে অংশ নিচ্ছেন। এই প্যারেডে চীন তাদের সর্বাধুনিক অস্ত্র, বিমান, ট্যাংক এবং ড্রোন বিধ্বংসী ব্যবস্থাসহ সামরিক শক্তি প্রদর্শন করতে পারে। প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর নতুন কাঠামো বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে তারা। তিয়ানানমেন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এই প্যারেডে কয়েক হাজার সেনা মার্চপাস্টে অংশ নেবেন। পশ্চিমা দেশগুলো চীনের এই সামরিক প্রদর্শনী ও কূটনৈতিক তৎপরতার দিকে নজর রাখছে বলে জানিয়েছে ।